Posts

Showing posts from April, 2023

যে গল্পগুলোর জন্যে ম্যাগাজিনটা পড়া

Image
#নববর্ষীয়_ম্যাগাজিন “নববর্ষ। নামটা শুনলেই মনের মধ্যে জমতে থাকে একরাশ উড়ো মেঘের মতো আনন্দ, উচ্ছ্বাস। চৈত্রের শেষে আরও একটা নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। বৈশাখের পয়লা দিনে শাঁখ বাজিয়ে, সাড়ম্বরে সূচনা হয় বাঙালির নববর্ষের।” লাইনগুলো পড়তে পড়তে আমি ‘ হি হি ’ করে হেসে লুটিয়ে পড়লাম। আমার কাকা যখন ক্লাস সেভেনে পড়ত তখনকার শারীরশিক্ষার একটা ফাইল যত্নে আছে। কাকার লেখার হাত চমৎকার। ছোটবেলায় ওই হাতের লেখা দেখিয়ে আমাদের কানাচাপাটি দেওয়া হত খারাপ হাতের লেখার জন্য । তো সেই খাতায় ‘পয়লা বৈশাখ’ নিয়ে লিখতে গিয়ে তার শুরুটা এরকম আছে --- “পয়লা বৈশাখ বাংলার ঘরে ঘরে মঙ্গলশঙ্খ বেজে ওঠে...”। অনিকেত গুহ-ও শুরু করেছেন সেরকম । তিনি কি সানন্দার পাঠিকা বলতে নব্বইয়ের দশকের পাঠিকাদের ভেবেছেন? যদি ভেবে থাকেন, তাহলে বলব, মরণ! আপনি বাবু ঠিকই ভেবেছেন। এখনকার ইয়ং লেডিরা এই বাক্যবিন্যাস দেখলে হেসেই খুন হবেন। যদিও তারপরে নববর্ষ সবন্ধীয় পুরাতন আমলের তথ্য ঢেলে সাজিয়েছেন প্রবন্ধটা। অবশ্য কি-ই বা আর করা। নববর্ষে বাঙালিনীদের কিস্যু আসে যায় না। বরং দুঃখ হয়। হায়! আর সপ্তাহখানেক পরে এলে কী ভালোই না হত। চৈত্র সেলেই দূর্গাপূজার

নায়কদের ‘অভিনব’ কোলাজের নববর্ষ

Image
“ নায়কের জন্য বাঙালীর আবেগ মাত্রাছাড়া। আমরা বরাবর নায়কের জন্য কেঁদে মরেছি। আর এখন ‘নায়ক নেই, নায়ক নেই’ বলে হাহুতাশ করছি। এই হাহুতাশ থেকেই জন্ম হচ্ছে মধ্যমেধার, সাহিত্য-শিল্প-সংগীত-চিত্রকলা, সর্বত্রই মাঝারিয়ানা জায়গা করে নিচ্ছে। ফলে বারবার তাকাতে হচ্ছে গৌরবময় অতীতের দিকে। সেখানেই খুঁজে নিতে হচ্ছে আলো। ” বড় দামী কথা বলেছেন সব্যসাচী সরকার। নায়কের জন্য আমাদের হাহাকার এতটাই সর্বজনবিদিত যে , খেয়ালই করছি না, আমরা অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকারে ঢুকে পড়ছি । এমন অবস্থা থেকেই আমরা নায়কের খোঁজ করছি। কৃত্তিবাসও তাই করছে। নয় কি? সম্পাদক লিখছেন, “নানা ক্ষেত্র জুড়ে এ হেন শ্রেষ্ঠ দশ বাঙালি ব্যক্তিত্বকে দুই মলাটের মাঝে ফের চিনে দেখার প্রয়াস।’ বেশ। তবে তাদের দাবী, ‘এই প্রয়াস অভিনব’। তাই কি? মোটেই তা নয়। গড়পড়তা বাঙালিরা প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে কাউকে না কাউকে খুঁজেই চলেছে, যার পায়ে তার মাথাটি বিকিয়ে ‘হরিবোল’ বলে দিনাতিপাত করবে। আর যারা প্রশ্ন করবে, তাদের মুণ্ডপাত করবে। অথচ এই নায়কেরা কি করেছেন তার বেশিরভাগই কেউ জানে না। ভালো লেগেছে, অনেক লোকে মানছে, আমি তাকে আমার নায়ক করলুম, বাস! কোন কথা হবে না বস্‌... এই

জুবিলি

Image
  ভারতীয় সিনেমার আঙ্গিক অননুকরনীয় এবং ইতিহাস বহুমাত্রিক বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এসেছে। দাদাসাহেব ফালকের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এমন এক চলমান শিল্প, যাকে তামাম ভারতীয় একটা সময় আপন করে নেয়। এই ‘আপন’ অর্থে সর্বস্তরের মানুষের কাছে বেঁচে থাকার মাধ্যম। রেডিও-র যুগও সম্ভবত এতটা জায়গা করে নিতে পারে নি। এমনকি স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষেও তার প্রভাব ছিল সাংঘাতিক। তখন কেন, এখনও আছে। আর কোন শিল্পমাধ্যম কি এতটা মানুষের কাছে আসতে পেরেছে? না। একটু ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই মুহূর্তেও এই শিল্পমাধ্যম সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা জাঁকিয়ে বসে আছে। অতীতের ‘টিকটক’ কিম্বা অধুনা ‘রিল’ --- তা সে যেমন কোয়ালিটিরই হোক না কেন, নিজেকে প্রকাশের অপরাপর অনেক মাধ্যম থাকা স্বত্বেও এই ছোট্ট ছোট্ট ভিডিও বা বলা ভাল অনুসিনেমার প্রকাশের তাগিদ জনসাধারণের মধ্যে প্রচন্ড। সিনেমাকে যেভাবে সাধারণ ভারতীয় তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িয়ে নিয়েছে, আর কিছুই তেমন প্রভাব রাখতে পারে নি। এমনকি এর জয়যাত্রা অদূর ভবিষ্যতেও কমার কোন লক্ষণ নেই। এটুকু পড়ে কেউ যদি ভাবেন আমি একটা রচনা লিখতে বসেছি ভারতীয় সিনেমা নিয়ে, তারা খুব একটা ভুল ভাববেন না।

আমার মা

Image
  কাল সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ করে কাঁপতে কাঁপতে আমার ঘরে এসে হাজির আমার মা। তাকে দেখে ভুত দেখার মত চমকে উঠেছি। আপাদমস্তক একটা পাতলা কম্বল মুড়ি দিয়ে হাজির। এমন গরমে এমন চমৎকার রসিকতা করার স্বভাব ও ক্ষমতা মায়ের নেই। পয়লা এপ্রিল হলেও না। “দ্যাখ তো, কেমন যেন শীত শীত করছে আমার। মাথাটা ধরেছে। গা-হাত-পা ব্যাথা...” গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম, বেশ জ্বর। মাপলাম। ১০০.৮। অতঃপর কাঁপতে কাঁপতে তিনি তার ঘরে গেলেন। আমি রান্নাঘরে। চা-বিস্কুট ছাড়া প্যারাসিটামোল দেওয়া যাবে না। ভাই গেল বাজারে রুটি আনতে। আমি রুটি বানালে দক্ষযজ্ঞ ঘটবে। বাবা দেখতে লাগলেন একপাশে বসে বসে। মাঝে মাঝে গল্প করে করে মা’কে খাওয়াতে লাগলেন । চা শেষে প্যারাসিটামল। আমার মা যতক্ষণ সুস্থ থাকে একদম পেন্ডুলামের মতন দৌড়ায়। সকালে মায়ের চোখ খুলল তো প্রথম বাক্যই হয়তো বলবে, আজকে কিন্তু মনে করে অমুক জিনিসটা আনতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের ঘুম থেকে উঠে সিস্টেম আপ হতে সময় লাগে। মায়ের সিস্টেম ঘুমানোর সময় স্লিপিং মোডে থাকে। কোনদিনও শাট ডাউন হয় না। জেগে উঠলেই সব মিনিমাইজ করা সফটওয়ার ওপেন সমেত হাইপার এক্টিভেটেড হয়ে যায়। এক-একসময় এই রমণীকে দেখে আমার খুব আশ্চর্য

নববর্ষে নবরসের ঝিনচ্যাক দেশ’জ কোলাজ

Image
“তুমি গেছো , স্পর্ধা গেছে , বিনয় এসেছে … ” এক-একটা গল্প পড়ছি, আর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার লাইনটা বার বার মনে মনে আবৃত্তি করছি। কেন? আরে দাড়ান দাড়ান... সবুরে মেওয়া ফলে...       এবারের দেশ পত্রিকার নববর্ষ সংখ্যায় নবরসের ওপর নটি আখ্যান। নবরস কি? শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস, অদ্ভুত এবং শান্ত। এক-একটা রস নিয়ে এক-একজন লেখক লিখেছেন ছোটগল্প। প্রচ্ছদ দেখে খাবি খেলাম। মুখ বন্ধ করা নয়টি মানুষ। কি বলতে চাইছেন শিল্পী? গল্পগুলো পড়লে কি বাক্যস্ফুট হবে না? এমনই ধুমধাড়াক্কা গল্পগুলো? কেন নয়? নবীন প্রবীন লেখক লেখিকারা মিলে লিখেছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত! কেমন লিখেছেন তারা? এক-এক করে বলা যাক--- ১। স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘স্বপ্নের মতো’ গল্পের নায়ক রাজা দক্ষিণ কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া মডার্ন ছেলে। অথচ সে এমন উত্তমকুমার টাইপের দুধেভাতে বাঙালী যে কি না শৃঙ্গার রস কি তা জানে না! অথচ গল্পের শুরু তার শৃঙ্গার স্বপ্ন দিয়ে! কেমন সে স্বপ্ন? পঞ্চাশের দশকের সিনেমাগুলোতে যেমন প্রেম দেখাত তেমন। সে মুচুমুচু কাব্যিক স্বপ্ন দেখে। আবার বাস্তবে প্রেমিকা দূ

সাঁকোটা দুলছে...

Image
আমি দেখছি. সাঁকোটা দুলছে!  যে সাঁকোটা এতদিন ছিল দৃঢ়, অটল, সুমেরুবৎ, সেই সাঁকোটা দুলছে, আস্তে আস্তে দুর্বল হচ্ছে। তোমার দিকে যাওয়ার পথ দুর্গম হচ্ছে।   অথচ তুমি ছিলে আমার খেলার সাথী। ছিলে আমার পাশে। নীরবে। নিভৃতে। আমার নগ্ন নির্জনতায় বিবেক হয়ে। জন্মলগ্ন থেকে।   তোমাকে আমি চিনতে পারি নি। তোমাকে আমি বুঝতে পারি নি। বন্ধুকে কি কেউ বুঝতে পারে? জানতে পারে? বন্ধু বন্ধুর সব অপরাধ মার্জনা করে, স্খালন করে।   অথচ আজ, এই নিশীথ রাত্রিতে সাঁকোটা দুলছে। তুমি ওপারে। আমি পারছি না তোমার কাছে যেতে। তুমি পারছ না আমায় এসে ছুঁতে।   জীবনে মিথ্যার প্রশ্রয় বড়ো ভয়ঙ্কর। সে খালি বঞ্চনাই করে। এই সত্যের মুখোমুখি যেদিন হলাম, দেখলাম,   সাঁকোটা দুলছে...

এক অ্যাডভেঞ্চার, দুই লেখক এবং মাঝের ষাট বছর

Image
১৮৪৯ সালের অক্টোবর মাসে বাল্টিমোরের ফুটপাথে অসহায় এবং রহস্যজনকভাবে মৃত্যুপ্রতীক্ষায় পড়ে থাকা লোকটার শেষ কথা ছিল, “ Lord, help my soul. ” অথচ এই লোকটিই একদা লিখেছিলেন --- “Deep into that darkness peering, long I stood there wondering, fearing, Doubting, dreaming dreams no mortal ever dared to dream before; But the silence was unbroken, and the stillness gave no token, And the only word there spoken was the whispered word, “Lenore?” কে এই লেনোরে? মনে করা হয়, ইনি তার স্ত্রী, ভার্জিনিয়া, The Raven নামের এই কবিতাটি লেখার সময় যিনি অসুস্থ ছিলেন, কবিতাটি প্রকাশের দুবছর পর তার মৃত্যুও হয়। অথচ কবিতাটা দেশে-বিদেশে প্রকাশিত হওয়ামাত্রই তিনি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। স্বয়ং বোদল্যের তার লেখায় এতটাই অভিভূত, যে তার লেখার অনুবাদ করতে শুরু করলেন ফরাসীতে, এবং বলা হয়, অনুবাদের মান নাকি আসলকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। “প্রথমবার যখন খুলে পড়লাম তাঁর বই, আমি আনন্দ ও ভয়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম সেখানে রয়েছে সেইসব জিনিস যার কথা আমি স্বপ্নে ভেবেছি, সেইসব বাক্য যেগুলোর কথা আমি ভেবেছিলাম। কিন্তু যা কুড়ি বছর আগেই ত

The Songs of Distant Earth By Arthur C Clarke

Image
  আর্থার সি ক্লার্ক --- বইপ্রেমী মাত্রেই নাম শুনেছেন, এমন দাবী করাটা একটু বাড়াবাড়ি হলেও বেশিরভাগ পড়ুয়া নাম শুনেছেন, এ আমি নিশ্চিত। আর যারা কল্পবিজ্ঞান প্রেমিক/প্রেমিকা তাদের বেশিরভাগ নিশ্চই তাকে পড়েও ফেলেছেন । যারা সিনেমা দেখেন, তারা জানেন, স্পেস ওডিসি-র লেখক উদ্দিষ্ট সিনেমাটিরও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন।       আর্থার সি ক্লার্ক আমাদের সময়কার লেখক ( 1917 ~ 2008 ) । মানে তার লেখা এক অর্থে বলতে গেলে হাল আমলের লেখা। ফলে তার কল্পবিজ্ঞানে একদম যাকে বলে মডার্নিসমের ছোঁয়া। সেই মর্ডানিসমের একটা টুকরো The Songs of Distant Earth । বাংলায় যার অনুবাদ হয়েছে ‘দূর পৃথিবীর ডাক’ নামে, করেছেন বাংলাদশের অনুবাদক মিজানুর রহমান শাওন।       বর্তমানে অনুবাদ পড়তে হলেই বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের পাঠক ও প্রকাশক সম্প্রদায়েরা তাদের অনুবাদ পড়ে নাক কোঁচকান। অনুবাদের মান নিয়ে রীতিমতো খিল্লি হয়। আর নিজেদের পিঠ বাঁচান আইন-টাইনের কথা বলে। দুটোই সত্যি । পড়তে পড়তে আমারই মনে হচ্ছিল শাওন মহাশয় যাদের উৎসর্গ করেছেন, তারা নিজেরা বইটা সম্পূর্ণ পড়তে পেরেছিলেন তো? এক-এক সময় মনে হচ্ছিল লেখাটা গুগ্‌ল ট্রান্সলেটরে ফেলা

অনুবাদ পত্রিকা ‘দলিত লেখিকার স্বতন্ত্র পথ’ সংখ্যা

Image
  আমার অবাক লাগে, যেখানে অনুবাদ সাহিত্যে ভাটার টান সুষ্পষ্ট, বাংলাদেশের অনুবাদ থমকে থমকে পড়ে আমাদের তৃষ্ণা মিটাতে হচ্ছে কোনরকমে, সেখানে, এরকম একটা পত্রিকা কীভাবে প্রতিবারই অদ্ভুত সব বিষয় বৈষিষ্ট্য নিয়ে হাজির হচ্ছে!   জায়গা না-পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গর্ভবতীর দৃষ্টি এড়াতে বাসের বাইরে দেখার ভান করা তুমি আমার কাছে কী আশা কর ভালোবাসা নাকি?   উপরের অনবদ্য কবিতাটি সুকীর্তরানির। তিনি একজন দলিত লেখিকা। এমনই বেশ কিছু দলিত লেখিকাদের ইন্টারভিউ, আত্মজীবনীর অংশবিশেষ আর গল্প-কবিতা নিয়ে এবারের অনুবাদ পত্রিকা। যদিও, আমি, সুকীর্তরানি-র ‘আমার শরীর’ কবিতাটার অনুবাদ আশা করেছিলাম, বিশেষ করে, এই কবিতাটার সূত্র ধরেই সাক্ষাৎকারের একটা বড়ো অংশ আলোচনা হয়েছে জাতিবাদ আর নারীশরীর কীভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা নিয়ে, এবং কবিতাটা লেখিকারও অন্যতম প্রিয় কবিতা। এই পর্যায়ের সাংঘাতিক সাক্ষাৎকারটি বেবী কাম্বলের। দলিত নারী হিসাবে যিনি একসময় আম্বেদকরের পথ ধরে এগিয়ে চলা শুরু করেছিলেন, দলিত সমাজ আস্তে আস্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা শুরু করল, তিনিও সফল হলেন, এবং তৎপরবর্তীকালে দলিত সমাজ কীভাবে নিজেরাই নিজেদের পথে

স্মরণে সন্দীপ দত্ত

Image
  আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু বলেছিলেন, এখনকার ম্যাগাজিনগুলো পড়া মানে সময় নষ্ট করা । আমিও তাদের সাথে নব্বই শতাংশ সহমত। আমার মনে হয়, কিছু কিছু সংখ্যায়, এমন কিছু মণিমুক্তো ভুল করে বেরিয়ে আসে, যাকে অস্বীকার করা অসম্ভব।       সম্প্রতি চলে গেলেন সন্দীপ দত্ত। ফেসবুকে ছেয়ে গেল তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে, অথচ এমন কোন পোস্ট আমার চোখে পড়ল না যেখান থেকে এই মানুষটা সম্পর্কে সম্যক পরিচয় পেতে পারি। সন্দীপ দত্ত-র কাজের সাথে পরিচয় হওয়া তো দূরের কথা, তার নামটা পর্যন্ত এযাবৎ শুনি নি। অথচ, সমসাময়িক পত্রপত্রিকা তার সম্পর্কে নীরব, হয়তো, লিটল ম্যাগাজিনগুলোর কয়েকটাতে তার সম্পর্কে লেখা বেরিয়েছে, কিন্তু ফেসবুক, কিম্বা অন্যান্য সোশাল মিডিয়া সে তুলনায় এতটাই উদাসীন যে, কোন তথ্য পাই নি। অথচ দুঃখবিলাসে ভরে গিয়েছিল এক-একটা বইয়ের গ্রুপ। আমার বন্ধুরাও তার ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারলেন না।       “অবসর বলে কিছু নেই, আমৃত্যু কাজ করে যেতে হবে।”       সন্দীপ দত্ত আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তার কাজের ক্ষেত্র ছিল লিটল ম্যাগাজিন। যে লিটল ম্যাগাজিনকে তিনি মনে করতেন, “... সাহিত্যের আঁতুড়ঘর, জন্মকালীন রক্তের দাগ ও গন্ধ লেগে আছে।” এ

যে আছ, সে আছ

Image
  যে আছ কাছে, তাকে দূরে ঠেলি না যে আছ দূরে, তাকে কাছে টানি না   দড়ি টানাটানির খেলায়, কে জিতল আর কে হারল ফিরেও দেখি না। শুধু জানি, সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের যাতাকলে আমি আর পিষতে চাই না   যে আসে, সে আসুক সহজভাবে যে যায়, সে যাক চলে অতি সহজে   অযথা অভিমানে আর বিষন্নতায় বয়ে যাওয়া যন্ত্রনারা দু-একটা ভাল লাগা সময়গুলোর গলা টিপে মারতে চায় দূরে-কাছের আসা-যাওয়ার কুয়াশায় পথ হারিয়ে মরতে চায় নিজের সুখের অনুভূতিগুলোকে।   আমি মারতেও চাই না। আমি মরতেও চাই না।