Posts

Showing posts from June, 2022

দিকশূন্যপুরের স্বপ্ন

Image
মাঝে মাঝে আমি একটা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্নটা এতবার দেখেছি, এতবার হয়তো দেখবও যে স্বপ্ন আর সত্যি মাঝে মাঝে এক হয়ে যাবে। আমি বিছানায় উঠে বসে চোখ মেলে বোঝার চেষ্টা করব --- আমি কে? আমি কোথায়?   স্বপ্নটা বলি---   আমি একটা মেলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। নিবিড় ঘন অন্ধকার বনের সামনে এক মেলা। কত হই-হুল্লোড়, কত ভীড়, কত আনন্দ। মেলার মধ্যে কত জানা-অজানা পসরা। মেলার মানুষেরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। আমি দূর থেকে দেখছি। তাদের কথা শুনতে পারছি না। অথচ অনুভব করছি, সেই জনসমুদ্রের কলরোল। মেলায় অনেক কিছু আছে। আমার ছোটবেলার রান্নাবাটি ওই মেলার কোন একটা দোকানে রয়েছে। আমায় কিনতেই হবে। কিম্বা আমার ভাইয়ের প্রিয় সেই কাঠের গাড়ীটা, যার চাকাগুলো ক্যারামের গুটি দিয়ে বানানো। আমায় কিনতে হবে। অথবা গামলার জলে ছেড়ে দেওয়া সেই ভটভটিটা, যে গামলার পাড় বেয়ে শব্দ করে করে ঘুরেই যাচ্ছে, ঘুরেই যাচ্ছে। তার থামার যো নেই। পাড়ে নিজেকে বেঁধে রেখে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জো নেই। সে কেবল সন্ধ্যেবেলা থেকে অন্তহীনভাবে পাড় ধরে ধরে ঘুরেই চলেছে। তাকে থামানোর জন্যে আমাকে ভটভটিটা কিনতে হবেই। সেই গ্যাসলাইটের আলো মনে পড়ে। হ্যাজাক বাতি। বিশ্বাস করুন,

ক্ষত

Image
  আমি চীৎকার করছি         আমি চীৎকার করছি                   করেই চলেছি   গলা ফাটানো সেই আর্তনাদ     বুনো জন্তুর অসন্মানিত প্রতিবাদের মতো                                  সে আর্তনাদ       ছড়িয়ে পড়ে --- আকাশে বাতাসে তারপর মিলিয়ে যায় অতীতের গর্ভে ।   কেউ আছো ? উত্তর মেলে না ।   কারো কোনো তাপ - উত্তাপ নেই ।   আসলে এমনটাই তো হয়       এমনটা তো হয়েই থাকে ।   মহাবিশ্বের কটা আর্তনাদ আমার কানে আসে ? কটা হত্যার আর্তনাদ শুনতে পাই ? কটা গোঙানির আওয়াজ হয় ? কটা বেদনার নালিশ দেওয়ালে প্রতিদ্ধনিত হয় ?   তবু এক অব্যক্ত আশায় আমি চীৎকার করতে চাই --- কিন্তু মুখের ভেতর গোঁজা কাপড়ের টুকরো নিয়ে    পিছমোড়া করে হাতদুটো বাঁধা অবস্থায়       বিছানায় দুই পা দুই পাশে উন্মুক্ত করে শুয়ে          সংসারকে আমার  দুই  স্তন আর পায়ের   মাঝে ক্ষত তৈরী করার             অধিকার দিয়ে...   আমি গুঙিয়েই যাই ---   আসলে এমনটাই তো হয়       এমনটা তো হয়েই থাকে ।।

এ কোন সন্ধিক্ষণ?!?

Image
‘টার্নিং পয়েন্টস্‌’ বা ‘সন্ধিক্ষণ’ এ পি জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনীর দ্বিতীয় আলেখ্য। প্রথম খন্ড ‘অগ্নিপক্ষ, বা ‘উইংস অফ ফায়ার’-এ তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী, মিসাইল ম্যান। এখানে তিনি মূলত রাষ্ট্রপতি। এখন এই দ্বিতীয় বইটা সম্পূর্ণ শেষ করার পর আমার কোথাও মনে হল না, একজন বিজ্ঞানী কথা বলছেন, মনে হল না একজন রাষ্ট্রপতি কথা বলছেন, মনে হল না একজন সমাজ সংস্কারক কথা বলছেন। মনে হল, একজন সাধারণ মানুষ, যে দেশের কথা ভাবে, যে দেশের তথা জগতের উন্নতির কথা ভাবে, যার একটা মিশন আছে, সেই মানূষটি কথা বলছেন, আমাদের কাছে প্রাণপণে তার চিন্তাগুলোকে সমষ্টিবদ্ধ করে রেখে যেতে চাইছেন। আমরা, অর্থাৎ পরবর্তী ভারতের সন্তানেরা। মিশন ২০২০ এ পি জে মারা গেছেন ২০১৫ সালে। রাজকীয় সে মৃত্যু। শিলং-এ IIMS –এ Creating A Livable Planet Earth – বিষয়ক বক্তৃতা দিতে দিতে ছাত্রদের সামনেই ঢলে পড়েন। ম্যাসিভ হার্ট এটাক। এবং মৃত্যু। এমন মৃত্যুর জন্যে একশো বছরও অপেক্ষা করা যায়। কিন্তু এ পি জে আজ, ২০২২–এ, জীবিত থাকলে, তার মিশন নিয়ে কি বলতেন? মিশনের কি ‘দফা গয়া’ হয়ে গেছে বলতেন, না কি হতাশায় মাথা নেড়ে আবার শুরু করতেন তার সফর নতুন করে? অবশ্যই দ্

এসো এসো, বন্ধু এসো...

Image
  ওই হয় না একরকম, এক-একটা কালোত্তীর্ণ সুর বা গান যখন অত্যন্ত দুর্বলভাবে অন্য কেউ পরিবেশন করে তখনও মনে হয় শুনি। কারণ ওই ভালো লাগাটাকে তো আর অস্বীকার করা যায় না। শুনতে শুনতে মনে হয়, না না, হচ্ছে না, ঠিক হচ্ছে না। এমনভাবে মনটা আবার চলতে থাকে আসল সৃষ্টির দিকে । মানে, যেখানে আমার আসল ভালো লাগা । আর তারপর একসময় সেটা যতক্ষণ না শুনছি, ততক্ষণ শান্তি হয় না।   ব্যাপারটা খুলেই বলি, ফেসবুকের টাইম লাইন ধরে এগোচ্ছিলাম আনমনে। হঠাৎ ZEE OTT প্ল্যাটফর্মে একটা শর্ট ফিল্মের ট্রেলার এল, আর পেছনে সেই কালোত্তীর্ণ গান ---   “ Yaar e man biyaa biyaa... ” Come my Friend, come ... এসো এসো, বন্ধু এসো...   উস্তাদ আমীর খাঁ সাহেবের দরবাড়ী কানাড়া’র দ্রুতের এই সময়টায় উস্তাদজী ডাকেন তার প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে, তার রুহ্‌ যেন ফেটে পড়তে চায় একটা সময়। আমি দম বন্ধ করে শুনি, প্রতিবারই... এবার ওই গান, ট্রেলারের কিছু কিছু দৃশ্য --- সব মিলিয়ে এমন হল যে সিনেমাটায় ঢুকে গেলাম। আর যা ভেবেছিলাম তাই। তনুজা চন্দ্রার এই সিনেমাটা আহামরি কিছু না। কার্তিক আরিয়ন আর মেহের মিস্ত্রীকে দিয়ে যেন জোর করে অভিনয় করানো হচ্ছে প্রথমদিকে

সম্পর্কেরা

Image
  এক-একটা সময় সম্পর্কেরা বড়ো জ্বালিয়ে মারে। যাকে আমি চিনি, তাকে আর চিনতে পারি না। সুখের অনুভূতির ছদ্মবেশে যারা আসে হঠাৎ যেন মুখোশ খুলে তাদের বিকৃত জটিলতা দিয়ে আমায় আঘাত করতে চায়। আমি আহত হই। আমি আহত করি। কেন এমন টানাপোড়েন? মা বলেন, হাড়ি-কলসী পাশাপাশি থাকলে ঠোকাঠুকি লাগবেই। তা বলে কি রান্নাঘর থেকে একটাকে বিদায় করে দিতে হবে? মায়ের কথা যদি মানি, তাহলে বলতে হবে সম্পর্কের এই টানাপোড়েন নিয়তির অনিবার্য পরিণতি। কিন্তু যদি এখনকার সময়ে বিচার করা যায়, তাহলে বলতে হাড়ি আর কলসীকে আলাদা আলাদা তাকে রাখাই ভবিষ্যত নিয়তি।   অনেক সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। চারপাশে আমি যেন ভাঙনের শব্দ শুনতে পাই, ভাঙন দেখতে পাই। যারা নিজের পায়ে দাড়িয়েছে, তারা আর সম্পর্কের দোটানায় থাকতে রাজী নয়। অর্থনৈতিক দৃঢ়তা মানুষকে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা দেয়, গলা তুলে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়, প্রতিবাদের ভাষা যোগায়। বিশেষত মেয়েদের। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়ে, যে কোন সম্পর্কেই একজন হবে Dominant, আর একজন হবে Submissive । যে ডমিন্যান্ট, তার যেন অধিকার আছে যা খুশি করার, যতটা আঘাত দিয়ে কথা বলা যায় কথা বলার এবং সবশেষে এমনভাবে ঘুমাতে যাওয়ার যেন কখ

শ্রীমতী হে

Image
আমার রবীন্দ্রনাথ - পর্ব ৪ রবীন্দ্রযুগের একদম প্রথমদিকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত ‘ভগ্নহৃদয়’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করা হল শ্রীমতী হে-কে। ‘হে’ অর্থে ‘হেকেটি’। কাদম্বরী দেবীকে ‘হেকেটি’ নামে ডাকতেন তার অন্তরঙ্গেরা। এখন এই কাদম্বরী-রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। আমি ঘোলা জলে আর মাছ ধরতে চাই না। কেবল সম্পর্কটা বুঝতে চাই। সেখান থেকেই একটা সূত্র আমার কাছে এল। তাকেই নাড়াঘাটা করে যা বোধে এল সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। রবীন্দ্রনাথ বিরাট বিস্ময়। তার চিন্তার ক্ষেত্র এতটাই বিস্তৃত যে আমাদের সাধারণ গড়পড়তা বাঙালীরা তাকে 'মহামানব' আখ্যা দিয়ে আজকাল একরকম পূজোই করি। এহেন বালক রবি যখন বিলেত ঘুরে অনেক রমণী-মন জয় করে এলেন, তৎকালীন সময়ে বাংলার অগ্রগন্য পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন, অনুবাদ করছেন, গান রচনা করছেন, এমনকি ব্রাহ্মসমাজের অনেক কাজে ব্রতী হচ্ছেন, সেই মানুষটি যার অভাব বোধ করছেন এবং যার মৃত্যুর পর আজীবন অভাব বোধ করে যাবেন, তিনি হলেন কাদম্বরী দেবী। এই অপূর্ণতা তিনি লুকান নি। ফলে এটা আর শুধুমাত্র দেবর-বৌদির রোমান্স ব্যাপারটার মধ্যে বাধা থাকল না। রবীন্দ্রনাথের মানসিক গঠন, তার শিল্পে

খোঁজ

Image
  আমি তাকে খুঁজি খুঁজি খুঁজি, খুঁজেই চলি... যাকে পেলে আমার সব পাওয়া হবে। যাকে পেলে আমি সব চাওয়া-পাওয়ার বাইরে চলে যাব। ভেতরের এই খোঁজ বাইরেও। নানা মানুষে তাকে খুঁজি। আমার বাবা, মা, ভাই, প্রেমিক, বন্ধু, আত্মীয়, শিক্ষক, চেনা-অচেনা। কেউ সে নয়। এক-এক সময় কাউকে দেখলে মনে হয় এই কি সেই? বুঝতে পারি না। সময়ের যে বাঁকে তাকে পেয়েছি, অন্য কোন বাঁকে তাকে হারিয়েও ফেলি একসময়। তার জন্যে কোন পিছুটান থাকে না। থাকে একটা বুক মোচড়ানো কান্না। নীরব নিঃশব্দ কান্না। যার জন্যে হিমালয় পাহাড় ডিঙ্গোলাম; যার জন্য সাত সমুদ্র এক করে দিলাম; যার জন্যে মৃত্যুকূপে ঝাঁপ দিয়ে তুলে নিয়ে আনলাম সাত রাজার ধন এক মাণিক, একদিন সে আমাকে পথের বাঁকে ফেলে হারিয়ে যায়। এক ধূসর কুয়াশায় সে যখন ঢেকে যায় তখন আর তাকে চিনতে পারি না। বুঝতে পারি, এ সে নয়, সে নয়। সে আছে, অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে। পথের মাঝে কেউ কেউ হঠাৎ দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকায়। বলে, তুমিই সেই। তুমিই আমার সেই। পরক্ষণেই তার চোখে আমি যাই বদলে। যে সুরের হাতছানিতে আমি তার কাছে এসেছিলাম, অন্য সুরের টানে সে দাঁড়ায় অন্য কারো সামনে। তাকে বলে, তুমিই সেই। তুমিই আমার সেই। জীবনের কো

এক আগুনপাখীর উড়ান

Image
এই বইয়ের রিভিউ লিখতে গিয়ে এই প্রথম মনে হচ্ছে, আমি এমন কেউকেটা নই যে এই বইটার ভালো - মন্দ বিচার করব। কারণ, যেখানে একজন মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী মানুষের স্মৃতিচারণের ছত্রে ছত্রে রয়েছে মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা, সেখানে তার ভালো-মন্দ বিচার করার আমি কে? প্রশ্ন হল, কার মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা? উত্তর – দেশ। দেশের প্রতি ভালোবাসা একজন সৈনিকও দেখাতে পারে। সে হাসিমুখে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেবে দেশের জন্যে। কিন্তু একজন বিজ্ঞানী শুধুমাত্র বর্তমান সেনাদের জন্যই ভাববে না। ভাববে ভবিষ্যতের সেনাদের জন্যেও। সে দেশের প্রতিটি ইঞ্চিকে প্রস্তুত করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। সেখানে শুধু সৈন্য নয়, সেখানে থাকবে সাধারণ আমজনতা, বিদ্রোহী এবং নবজাগরণের স্বপ্ন দেখা যুবশক্তি, এবং সদ্য নতুন আলো দেখতে পাওয়া শিশুরা। তাদের সকলের জন্যে একজন বিজ্ঞানী ভাববে। তার উদ্দেশ্য দেশের রক্ষণব্যবস্থাকে শুধুমাত্র শক্তিশালী করা নয়, পাশাপাশি দেশের পরিকাঠামোকেও একটা এমন স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এনে দাঁড় করানো, যেখান থেকে ভারত উঠে দাঁড়াবে আপন আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে। এ পি জে আবদুল কালাম সেই মাপের বিজ্ঞানী। রকেট টেকনোলজিকে শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার করলেন

রাজা

Image
      আমি চীৎকার করে বললাম, আমি সমস্ত বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। অন্ধকার থেকে উত্তর ভেসে এল, বেশ তো । আমি আবার চীৎকার করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম, তুমি কি পারো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে? অন্ধকার নিরুত্তর । আমি বললাম, আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। কোন কিছুকে বিশ্বাস করি না। তোমাকেও বিশ্বাস করি না। অন্ধকার থেকে ভেসে এল, কেন? আমি বললাম, বিশ্বাস করার কিছু আছে কি? তুমি কি আছো? তোমাকে বিশ্বাস করে এতটা পথ হেটে এলাম। তাতে কি হল? -       আমার কথা বাদ দাও। আরোও অনেক বিশ্বাস যেগুলো ছিল সেগুলো সম্পর্কে কিছু বলো। -       আরো অনেক বিশ্বাস! অনেক কিছুই ছিল। যে কোন সম্পর্কের শুরুতে অনেক বিশ্বাস ছিল। যাদের ভালোবাসতাম, মনে হতো, তারা কখনও আঘাত দেবে না। যদিও বা আঘাত করে, তাহলে কথার প্রলেপে সেই যন্ত্রণা তারা ধুইয়ে দেবে। কিন্তু কোথায় কি? এখানে সবাই সবাইকে যেন মেপে নিচ্ছে বিকারগ্রস্থের মতো। সবার সাথে সাথে আমিও আস্তে আস্তে সবাইকে মেপে নিতে শিখে যাচ্ছি । আমার মাথার মধ্যে যেন বিষাক্ত অ্যাগারিকাসের কলোনী। আমার হৃদয় মরুভূমির কাঁটাঝোপ। কারোর মুখের কথায় আর বিশ্বাস হয় না। এমনকি শিশুরও নয়। -       আর? -       আর নিজের

Deception (2021)

Image
  ফরাসী শিল্প ব্যাপারটাই আমাকে বেশ করে চমকে দেয়। যেমন ধরুন একটা উপন্যাস, ধরুন --- পড়ছি, পড়ছি, বেশ বুঝতে পারছি যে, কিছুই বুঝতে পারছি না। সিনেমা, দেখছি, দেখছি, বেশ বুঝতে পারছি, যা দেখছি সেটা দেখাতে চাইছে না।        এই সিনেমাটার সবথেকে দামী জায়গা হল কথপোকথন। অনেকগুলো কোলাজে যে কথোপকথন উঠে আসে সেখান থেকে সম্পর্কগুলোর টানাপোড়েন, মনোজাগতিক জটিলটা উঠে আসে। আপনি গল্প দেখতেই পারেন। গল্পে বিশেষ কিছু নেই। গল্পটাকে ধরে এগোলে নতুনত্ব কিছু চোখে পড়বে না।        একজন লেখকের ( Denis Podalyd è s ) সাথে তার স্ত্রী ( Anouk Grinberg ) , প্রাক্তন প্রেমিকা ( Emmanuelle Devos ) , তার নতুন প্রেমিকা ( L é a Seydoux ) , তার ছাত্রী ( Rebecca Marder ) এদের সাথে কথোপকথন। এবং গল্প শেষ। হ্যাঁ এই কথোপকথনের মধ্যে অবাধ যৌনতা আছে, স্ত্রী-র সন্দেহজনিত কারণে ঝগড়া আছে, পুরোনো প্রেমিকার শেষ হয়ে আসা জীবনের মধ্যে বাঁচতে চাওয়ার আবেগ আছে, মানসিক রোগগ্রস্থ ছাত্রীর ছিটেল কথাবার্তা আছে --- কিন্তু সব অন্য লেভেলের। এখানে কাফকা আসে দৈনন্দিন কথাবার্তায়, যেন তার চিন্তাধারাকে এরা খুব সাধারণভাবেই আত্মস্থ করেছে। আবার অসন্মানের কার

কেউ আছো?

একটি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র দশতলার বিল্ডিং থেকে ঝাপাতে    ঝাপাতে          ঝাপাতে প্রাণপণে চীৎকার করছে কেউ আছো?   একটি পঁচিশ বছরের যুবতী সিলিং-এ দড়ির ফাঁস বাধতে    বাধতে        বাধতে ক্ষীণস্বরে জিজ্ঞাসা করছে কেউ আছো?   বৃদ্ধাশ্রমের বরাদ্দ ঘুমের ওষুধের থেকেও অনেক বেশি ওষুধ গিলতে    গিলতে        গিলতে মানুষটা আশা করছে কেউ আছো?   এই ভয়ঙ্কর সুন্দর জনরণ্যের মাঝে মানুষ মানুষকে খুঁজছে কেউ আছো?   উত্তর মেলে না।