Posts

Showing posts from August, 2023

চেনা ছকে এক অচেনা গাঢ় শঙ্খ

Image
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া কিছু লেখার সংকলন এই বইটি ‘ঘুমের দরজা পেরিয়ে’, ‘হে অনন্ত নক্ষত্রবিথী’ এবং ‘চিলেকোঠার উন্মাদিনী’ বইত্রয়ের উত্তরাভাস। এখানেও উঠে এসেছে একইভাবে বিভিন্ন সাহিত্যিকের , বিশেষত কাজগুলো, যার অধিকাংশই ফরাসী। এবং অনেক ব্যক্তিরই প্রকারান্তরে পূর্বোক্ত বই তিনটেতে সরাসরি কিম্বা অ-সরাসরি আভাস থাকার ফলে পড়তে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। কিন্তু, এই বইয়ের সার্থকতা কোথায়? এই বইতে আমি একটা বড়ো শিক্ষা পেলাম, কীভাবে অতি নম্র হয়ে কোন লেখার, তা সে যতই প্রতিভাবান লেখক হোন না কেন, সত্যের খাতিরে, যা তিনি অনুভব করেছেন, তাকে প্রকাশ করতে হয়। ব্যাপারটা খুলেই বলি। এই বইয়ের একটা মজার ব্যাপার হল, অনেকগুলো লেখাই প্রকারান্তরে বইয়ের রিভিউ। এর মধ্যে বুদ্ধদেব বসুর ‘বোদলেয়ারের অনুবাদ’ , যা বাংলা অনুবাদ সাহিত্যে একপ্রকার কিংবদন্তী কাজ বলে ধরা হয় , তার কঠোর সমালোচনা, চিন্ময় গুহের সুযৌক্তিক প্রণিধানের ফসল । “বুদ্ধদেব বসুর মতো সত্যিকারের সাহিত্যবোদ্ধা এমন কথা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করলেন কেন? তাঁর গভীর শ্রমে করে তোলা কাজটির প্রধান ঘাটতি ঢাকতে চাইলেন বলে?” --- এমন দুটি বাক্য লিখতে গে

অতঃপর

Image
  অতঃপর বালিকা জ্বরে পড়িল । ১০৩.২ এই তীব্রতায় ভিজে গামছার প্রলেপের ভেজা চিহ্ন থাকে না পরক্ষণেই, বরং, এক তীব্র তাপনির্মমতায় সমগ্র বিশ্বজীবনী লোহিততপ্ত রাঙামুকুর হয়ে ওঠে। মাথার দুপাশের রগ দপদপ করতে করতে বিস্ফোরণে ফেটে পড়তে চায়। সে যন্ত্রণার আপাততীব্রতা যেন তূণীর থেকে সহসা বের হয়ে আসা জ্যা-মুক্ত তীরের তীব্র বেদনার্ত কষাঘাত। যন্ত্রণায় গোঙ্গাতে থাকি। যন্ত্রণামুক্তির উদ্দেশ্যে, না কি যন্ত্র ণা কেই সান্ত্বনা দিতে চাই? দস্তয়েভস্কি'র কয়েকটা লাইন মনে পড়ে, “ ... এই অবস্থায় নীরবে মানুষ গায়ের জ্বালা মেটায় না, গোঙাতে গোঙাতে মেটায়। কিন্তু এই গোঙানীর মধ্যে থাকে শিল্পনৈপুণ্য, ভুক্তভোগী সূক্ষ্মভাবে অপরের অনিষ্ট কামনা করতে করতে গোঙায় এবং দেখবেন গোঙানীর সঙ্গে এই অনিষ্ট কামনাকে মেলানোটাই আসল ব্যাপার। এর মধ্যে ভুক্তভোগী সুখ প্রকাশের উপায় খোঁযে, সুখানুভূতি না হলে সে গোঙাবেই না, এটাই মোদ্দা কথা... ” আমি কেন গোঙাচ্ছি? এমনিই দস্তয়েভস্কির লেখা আমায় অসুস্থ করে দেয়, তার ওপর এই অদ্ভুত এক সুররিয়েল অবস্থানের মধ্যে তিনি চলে এসে আমায় আরও অসুস্থ করে তুলছেন। যার অস্তিত্ব আছে, ব্যক্তিত্ব নেই... আমি আবার তীব

ফরাসী সাহিত্যের স্রোতধারায়

Image
  “ উচ্চভ্রূ নয়, সাধারণ পাঠকের জন্য বিভিন্ন সময়ে রচিত এই নির্বাচিত প্রবন্ধগুলি একসঙ্গে প্রকাশিত হলে সেটা কারুর কাজে লাগতে পারে মনে করেই এই বইয়ের পরিকল্পনা। চুরমার হতে থাকা আজকের এই পৃথিবীতে এগুলির মধ্যে কোনও গোপন অন্তঃসূত্র পাওয়া যাবে ভাবতে চাই। ” শ্রীযুক্ত চিন্ময় গুহের কাছে আপামর বাঙালী পাঠকসমাজের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। এই নিয়ে আমি ওনার তৃতীয় বইটি পড়লাম। বই না বলে ‘ছাত্রবন্ধু’ বলা ভাল। ফরাসী সাহিত্যের যত দিকপাল আছেন তাদের অধিকাংশই তার হৃদয়ের আতশকাঁচে যেভাবে ধরা পড়েছে, তাকেই নিজের আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে আমাদের কাছে মেলে ধরেছেন। ‘ছাত্রবন্ধু’ই বটে। না হলে তো আমি জানতেই পারতাম না, রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলী’ ফরাসীতে অনুবাদ করেন স্বয়ং আদ্রে জিঁদে! আমি জানতে পারতাম না রম্যাঁ রল্যাঁ শুধু তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ফরাসী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যে কী অসামান্য প্রভাব রেখেছিলেন, শুধু তাই না, তিনি ভারত প্রেমিকও ছিলেন। আমি জানতে পারতাম না, সার্ত্রে শুধুমাত্র অস্তিত্ববাদের জনক নয়, সমগ্র ফরাসী ইন্টালেকচুয়াল তথা বিশ্বদর্শনের নবরূপকার আক্ষরিক অর্থে তার জীবদ্দশাতেই মহান পথিকৃৎ হয়ে পড়েছিলেন। চিলেকোঠার উন্মাদি

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে

Image
  জেরক্স করতে করতে, জেরক্স করতে করতে, জেরক্স করতে করতে একটা-দুটো ঝকঝকে ভালো প্রিন্ট বের হয়ে আসে। রাজ চক্রবর্তীর ‘প্রলয়’ পর্ব তেমনই একটা উদাহরণ। টিভি সিরিয়াল ‘প্রলয় আসছে’, কিম্বা ‘প্রলয়’ সিনেমার পরে, ওয়েব সিরিজ ‘আবার প্রলয়’ তার একটা বড়ো উদাহরণ। বিষয়ঃ সুন্দরবনে Human Trafficking - বড় মর্মস্পর্শী বিষয়, এমনিই দর্শক টানবে । কিন্তু কলকাত্তাইয়া ভাষা দিয়ে কি সোঁদরবনের ভাষা চালানো যায়? কানে বড়ো লাগে যে! এ যেন একতারাতে বেথোভেনের নবম সিম্ফনি। ফলে যা হওয়ার তাই হল। ঋত্বিক, গৌরব কিম্বা কৌশানীর বাচনভঙ্গি ‘ঘেটে ঘ’ হয়ে গেল। নাট্যব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবাদে সোহিনী যাও বা একটু আধটু চালাচ্ছিল, কিন্তু থানার মধ্যে কিম্বা শেষের দিকে যখন সব চরিত্রেরা মুখোমুখি হতে থাকল, তখন কথ্যভাষা হাস্যকর হয়ে দেখা দিল। যেটা বলছিলাম। মেয়েদের চুরি করা হচ্ছে সুন্দরবনে । সেখানকার মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে রাতারাতি কলকাতা বা অন্যত্র দিয়ে অন্য জায়গায় মেয়েদের পাচার করে দেওয়ার যে ভয়ঙ্কর র‍্যাকেট, তারই শেষ করতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অনিমেষ দত্ত ওরফে শাশ্বত-র সুন্দরবনের আগমন। টিটাগড়ের ভগ্ন কারখানায় হোক, কিম্বা নৌকার ওপর, শাশ্বত যে ঠিক কা

অনন্তের মাঝে এক নক্ষত্রপথিক

Image
  চিন্ময় গুহের ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ নামক প্রবন্ধগুচ্ছ আমাকে চমকে দিয়েছিল। উক্ত প্রবন্ধগুচ্ছ অনেকটা ছাত্রবন্ধুর মতো। বিশেষত, ফরাসী সাহিত্যের একটি রূপরেখাকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়, যদিও টাইম লাইন ধরে নয়। কিন্তু সে যাই হোক না কেন, লেখকের জীবন ও সাহিত্যশৈলীকে তিন-চার পাতার মধ্যে এত সুন্দরভাবে আলোচনা করার উদ্দেশ্য পাঠককে কৌতুহলী করে তোলা, যে কাজে তিনি অনেকাংশে সফল। যদিও, তার পাশাপাশি অন্যান্য সাহিত্যের অনেক (এবং ভারতীয়) মহীরুহের কথাও আলোচনায় এসেছে। বোঝা যায়, চিন্ময় গুহ ফরাসী সাহিত্যের পাশাপাশি অবশিষ্ট বিশ্বসাহিত্য আত্মস্থ করেছেন। ‘হে অনন্ত নক্ষত্রবীথি’ তারই দ্বিতীয়াংশ। যদিও, লেখকের ভাষায়, “আমার পূর্ববর্তী গ্রন্থ ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ (২০১৬)-র সঙ্গে এর সুরের মিল, যদিও এটি একটি স্বতন্ত্র বই।” এখানে উনি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে অন্যান্য শিল্প যেমন সিনেমা বা চিত্রকলা নিয়ে আলোচনা করতে গেছেন। বার্গম্যান বা আন্তোনিওনি কিম্বা দ্যগা বা মাতিস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কোথাও যেন তাল কেটে গেছে। সাহিত্যের আঙ্গিনায় ঔপন্যাসিক কিম্বা কবিদেরকে নিয়ে যতটা তিনি স্বচ্ছন্দ, বাকি দিকগুলোতে ততটা মনে হয় নি । চিন্ময় গুহের লেখ

এ কোন সকাল...

Image
  সাধারণ এক গড়পড়তা মেয়ে। ফরাসী মেয়ে। দৈনন্দিন জীবনের আটপৌড়ে মেয়ে। মনে করা যাক, ষাটের দশকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’র নীতা যদি পরবর্তী শতকের দ্বিতীয় দশকে ফ্রান্সে জন্মায় তাহলে কি হবে? পার্থক্য এই তাকে পুরো পরিবারের ভার নিতে হবে না। কিন্তু দেখতে হবে, একটু একটু করে তার নিজের জীবন, তার কাছের মানুষের জীবন কীভাবে উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে। নীতা শেষে বলে উঠেছিল, “দাদা, আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম”। এখানে, স্যান্ড্রা বলে ওঠে, “ Promise me you’ll help me to be euthanized before it’s too late. ” জীবনের একই দিক, দুই অভিমুখে। আমি ঋত্বিক ঘটকের সাথে কোনভাবেই Mia Hansen-L ø ve -এর তুলনা করতে চাইছি না। বলতে চাইছি, দেশ-কাল-ভেদে পাত্র বদলালেও, কোথাও না কোথাও মানুষের মনের গঠন তো এক। যে একাকীত্বের মুখোমুখি নীতা হয়েছিল ষাটের দশকে, আজও মানুষ সেই একাকীত্বকে বয়ে চলে অন্যধারায়, অন্যরকমভাবে। Sandra Kienzler ( অভিনয় করেছেন L é a Seydoux) ডিভোর্সী মহিলা, সে দোভাষীর কাজ করে, তার এক কন্যা আছে স্কুলে পড়ে। মা আরেকজনের সাথে থাকেন। আছে এক বোন। সবাই যে যার মতো করে আলাদা আলাদা থাকে। সুখেই থাকে, নিজের মতো করে থাকে। স্

রবীন্দ্রজগতের মার্গদর্শকেরা

Image
আমার রবীন্দ্রনাথ আজ বাইশে শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস। তাতে অবশ্য, আমার, খুব একটা কিছু আসে যায় না। রবীন্দ্রপ্রয়াণ শব্দটা আপেক্ষিক। আমার কাছে তার অস্তিত্ব নেই। আমার কাছে ‘রবীন্দ্রনাথ’ একটা তত্ত্ব। যে তত্ত্বের যাপন মহামতি গ্যেটে করেছিলেন, মহাপ্রাণ তলস্তয় করেছিলেন, ভাষা আলাদা, ভাব এক। ঈশ্বরের সভাকবি মাঝে মাঝে পৃথিবীতে আসেন। তারা মানুষকে বড় কাছ থেকে দেখেন। তারা সমালোচনা করেন না। আলোচনা করেন। মানুষ তাদের কাছে বিস্ময়ের পাত্র। অবতারেরা রিবেলিয়ান গোত্রের। তারা নিজেদের অজান্তেই মানব সম্প্রদায়ের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেন বটে, কিন্তু তাদের সামনে এলে মনে হয়, আমরা কত দীন-হীন, পাপী-তাপী। কিন্তু তাদের সভাকবিদের সামনে নিজেকে বড়ো মূল্যবান মনে হয়। প্রকান্ড এ বিশ্বে অ্যামিবার মতো ক্ষুদ্রতা নিয়ে যতটা মূল্যবান মনে হওয়া সম্ভব, ততটা। “মনে রেখো, তুমি বঞ্চিত হও নি” – মৈত্রেয়ী দেবীকে লেখা রবীন্দ্রনাথের এ আপ্তবাক্য কোন অবতার ভাবদরদ দিয়ে বলেন নি, বলতে পারেন নি। আমার জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব বলে শেষ করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথকে একটু অন্য আঙ্গিকে দেখতে বড়ো মন চেয়েছে বলে একটু অন্যরকম সংগ্রহ আমি তিলে তিলে করে চলে

কিরিয়েস্তামি চতুর্বিংশতি

Image
         সিনেমায় কি কবিতা বলা যায়? হ্যাঁ যায়। অনেক পরিচালক সিনেমায় কবিতা বলেছেন। ক্যামেরাকে ব্যবহার করেছেন। চরিত্রদের মধ্যে ছন্দ এনেছেন। ভাষায় কব্যিক সুষমা এনেছেন। গল্পে সুররিয়েলিজম এনেছেন। সিনেমাটোগ্রাফিতে রঙের বাহার এনেছেন। কিম্বা সুরের মায়াজালে কবিতার দ্যোতনা মিশিয়েছেন। কিন্তু... যদি এমন হয়, ক্যামেরা স্থির। মানবচরিত্র প্রায় অনুপস্থিত, থেকেও না থাকার মতো। ভাষা নেই। গল্প নেই। রঙের ব্যবহার নির্দিষ্ট। সুরের একটা নির্দিষ্ট গৎ আছে। তাহলে? তারপরেও কি কবিতা বলা যায়? যায়। একটা না। দুটো না। টানা ২৪টা। কবির নাম আব্বাস কিয়ারোস্তামি। তার ক্যামেরা স্থির ফ্রেম ধরে রাখে। এবং সেই স্থির ফ্রেম কখন যেন নড়েচড়ে উঠতে থাকে। প্রকৃতি কবি হয়ে যায়। লিখে যায় মায়াকাব্য। প্রকৃতি সুর সৃষ্টি করে। কাব্য গান হয়ে ওঠে। এমনিভাবেই ছোট ছোট, পাঁচ-ছয় মিনিটে এক-একটা কবিতা রচনা করে প্রকৃতি। আব্বাস কিয়ারোস্তামি তা দেখেন। কেবলমাত্র দর্শকের মতোই প্রকৃতির কবিতা শোনেন। ক্যামেরায় রিলবন্দী হয়। আমরা দেখি। কোলাজের মতো করে... একটার পর একটা। ২৪টা দৃশ্যপট। ২৪টা কবিতা। ২৪টা মায়াজগৎ। সমস্ত ফ্রেম স্থির। তার মধ্যেই কখনও

পিপাসার্ত অভিমুখে কয়েকটি কবিতার কোলাজ

Image
  কেউ কবিতা লেখে, আবার কারো কারো কাছে কবিতা আসে । সাইফুল ইসলাম সৌরভের ক্ষেত্রে কি ঘটনা? “কবিতা লিখতে লিখতে যারা মৃত্যুর দিকে হেঁটে যায়” উৎসর্গপত্রটাই চমকে দেওয়ার মতন। কবি কি মৃত্যুর দিকে যান, না কি মৃত্যুকে উত্তীর্ণ করে কালকেও জয় করতে চান? মহাকালকে ছুঁতে চান? জীবনের পথে চলার পিপাসাই কি মৃত্যুর আবেগবিবর্জিত পরিণতি? না কি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুকে প্রশ্ন করে, চোখে চোখে রেখে, নিজের সত্ত্বা দিয়ে তার আন্তরিক উত্তরটাকে আবিস্কার করার উত্তেজনায় এগিয়ে চলা! কবি নিজে প্রশ্ন করেন, কিম্বা সমগ্র জগতের আজ-কাল-পরশুর অর্বুদ অর্বুদ মৃত্যু অভিমুখী জনঅরণ্যের বাসিন্দাদের দেখতে দেখতে চিরকালের মহাজীবনের প্রশ্নগুলোকেই রাখতে চান আপন ভাষায়? যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে এ কাব্যগুচ্ছ কবির ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা মাত্র । চিরকালীন সমষ্টিতে তার স্থান আছে, নিজের অন্তরের বিশ্বে তার প্রকাশ জাজ্বল্যমান। সে আকাঙ্ক্ষায় প্রশ্নগুলো থাকে, তার কোনো সাধারণ সূত্র থাকে না। ক্যালাইডোস্কোপের মতন কখন যে কি আলিপন ফুটে উঠবে তার কোন স্থিরতা নেই। সাইফুল ইসলাম সৌরভের কবিতাগুলো পড়তে পড়তে আমার এটাই মনে হল। “ কবিতা হয়তো ভাল লাগবে অথবা ল