Posts

Showing posts from October, 2022

বাবারা যেমন হয়...

Image
  কেমন হয়? বাবারা? মানে আমার আপনার বাবা তো সচিন তেন্ডুলকর কিম্বা অমিতাভ বচ্চন টাইপের লিজেন্ড কেউ নন, নিদেনপক্ষে লোকাল মস্তান বা থানার পুলিশ অফিসার ইন্‌ চার্জ-ও নন। আমার-আপনার বাবা এক্কেবারে দুধে-ভাতে থাকা, দশটা-পাঁচটার ডিউটি সেরে বাড়ী ফিরে প্রথমে ছেলেমেয়েদের দুটো-চারটে চড়-চাপড় মেরে, তারপরে খেয়েদেয়ে একটা ঢেকুর তুলে রাত দশটায় ঘুমাতে যাওয়া পাবলিক। মানে এক্কেবারে ছাপোষা গেরস্থ বাঙালী, যে কারো সাত-পাঁচে থাকে না।        তবুও সেই বাবারও একটা জগত আছে, বেঁচে থাকার একটা তাগিদ আছে, প্রেম-অপ্রেম আছে, আর আছে ভবিষ্যতের আশা-আশঙ্কা নিয়ে লোকাল ট্রেনে আড্ডা দেওয়ার ক্ষমতা। ফলে, সে অর্থে, জাঁক করে জীবনী লেখার মতো উপাদান তাদের সন্তানাদির নেইও, থাকার কোন সম্ভবনাও নেই। সরকারী চাকরী হলে তেমন করে দেখানোর একটাই জিনিস থাকে, রিটায়ার করার পর পাওয়া একটা বাঁধানো হাতে-লেখা প্রশংসাপত্র, যা হয়তো, গত কয়েক বছরে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়ে অর্থখরচ বাড়িয়েছে, খাটনি কমিয়েছে।        আর, হয়তো আছে, কোন এক ছেলেবেলায় ফার্স্ট হওয়ার রেসাল্ট, অনেক যত্নে রাখা স্বত্ত্বেও যা মলিন, ছিন্নদশা; কিম্বা আছে, যুবক বয়সে অফিসে ফুটবল খেলে গোল করে ম্

কপালের ফোঁটার জোরে...

Image
বৃহষ্পতিবার। সকাল সকাল উঠে স্নান করেছি, শ্যাম্পু দিয়ে, অনেক কষ্টে চুল শুকিয়ে ফুরফুরে করেছি। তারপর সুন্দর করে শাড়ী পড়েছি, যা পড়তে চিরকালই আনন্দ বোধ করি, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিজেকে অনেকবার ঘরের বড়ো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখেছি। কানের পাশে একটা হলুদ গোলাপ, এভাবে একটা লোকাল ট্রেন্ড আনা যায় কি না ভাবছি, আজ থেকে শুরু করলাম, বাংলাদেশের মেয়েরা যেমন চুলে ফুল গোঁজে আর কি। কপালে একটা টিপ, চোখে আইলাইনার আর ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক দিয়ে ভাবছি আর কিছু বাকি আছে কি? কোন গন্ডগোল হচ্ছে না তো? অঞ্জন দা অনেকদিন বাদে আসবে আজ , তার সামনে বিব্রত হবো না তো? আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখলে কেমন হয়? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে আরেকবার একিয়ে বেঁকিয়ে দেখার আগেই দুটো ক্যাংড়া কিন্তু শক্তিশালী হাত আমার কোমড় জড়িয়ে ধরল। আমি ‘আই হাই’ করার আগেই দেখলাম আমি একটু শূন্যে উঠে গেছি, এবং তারপর ওই অবস্থাতেই ঘরের থেকে বেরিয়ে বারান্দা দিয়ে এগোচ্ছি প্রায় ভেসে ভেসে, সেই ঘরটায়, যেখানে আজ আমার অগ্নিপরীক্ষা। অগ্নিপরীক্ষাই বটে। শুনতে পেলাম ভাই গজর গজর করতে করতে বলছে, এদিকে আমাদের খিদেয় পেট চুই চুই করছে, আর ওদিকে উনি হিরোইন সাজছেন। দু মিনি

এবার কালী তোমায়...

Image
আমাদের এদিককার সব কালী আজ জলে গেল। মানে যা বাকী ছিল আর কি। আজকে ভাইয়ের সাথে একটু বেরিয়েছিলাম বাজারে। রাস্তা দিয়ে একের পর এক কালীঠাকুর ভ্যানে চড়ে কাড়া-নাকাড়া আর ডিজে-র যুগলবন্দীতে নিকটবর্তী পুকুরের দিকে টলমল করতে করতে এগিয়ে চলছেন বটে, তবে একটা ব্যাপারে বেশ কয়েক দশকের অভিযোজন যেটা চোখে পড়েছে সেটা বলি।        ভাসানে, যে কোন ক্লাবের ক্ষেত্রেই, গানের সাথে সাথে যেটা চোখে পড়ে সেটা হল নাচ। সে এক তুমুল ব্যাপার। উৎপটাং নাচ দেখে মাঝে মাঝে নিজের শরীরটাই নেচে ওঠে। সে নাচের মহিমা কি বলা ভারী শক্ত। ছেলে-মেয়ে-বুড়ো-বুড়ি --- কারোরই নিরুৎসাহ নেই এই উদ্দাম আলপটকা নাচে। ছেলেরা নাচে জামা ঘুরিয়ে, কিম্বা না ঘুরিয়ে হরেকরকমবা টাইপে। আর মেয়েরা, সেটা যে ঠিক কি ধরনে নাচ তা বলা ভারি শক্ত। সব মেয়েই জন্মনাচিকা। তাদের প্রত্যেকেরই নাচে এক নিজস্ব স্বকীয়তার ছাপ থাকে। তা সে শাড়ি পড়েই হোক, কিম্বা সালোয়ার, কিম্বা টপ-জিন্স...        আগে, বাবা-কাকাদের মুখে শুনেছিলাম, ভাসানের সময় ছেলেরা নাচত, মুর্তির ঠিক সামনে। ঢাক-ঢোল-কাঁসা বাজত। সিটি বাজত। আর মেয়েরা মুর্তির পেছন পেছন চোখের ভাষায় কিম্বা আপন শারীরী মূর্চ্ছনায় ছেলেদের নীরব

এক তীব্র চোরাস্রোতের শান্ত ধারায়...

Image
  “When I was a child, luxury was fur coats, evening dresses, and villas by the sea. Later on, I thought it meant leading the life of an intellectual. Now I feel that it is also being able to live out a passion for a man or a woman.”         উপন্যাস বা উপন্যাসিকা, যেটাই হোক না কেন, পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, LOVE এবং PASSION --- এদের মধ্যে পার্থক্য কি? যৌনতায় ? ফলে, ‘ প্রেম ’ এবং ‘ গভীর আসক্তি ’ র মধ্যে একটি অনেক উচ্চে স্থান পেল, এবং অপরটাকে আমরা নীচু চোখে দেখতে থাকলাম। এতএব, মানুষের মধ্যেই অপরাধবোধের একটা জায়গা প্রকট হয়ে গেল এই দুটি শব্দের প্রকৃতিতে।       অথচ, প্রথমটা ও দ্বিতীয়টার মধ্যে ফারাক মূলত কি, বলা কঠিন, যদি আমরা রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখি। যে সম্পর্কটার ওপর ভিত্তি করে একটা ‘সেক্ট’ তৈরী হয়েছে হিন্দু সমাজে, তার ক্ষেত্রেই আমরা দেখি প্রেম এবং যৌনাকাক্ষা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। চন্ডীদাস বা বিদ্যাপতি সাক্ষী। আমরা তার মধ্যে অপরাধ কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। মানুষের জীবনেও এমনটাই হয়। যাকে আমরা বিয়ে করি, এমন হতেও পারে, তার ক্ষেত্রে প্রেমাকাক্ষা জুড়তে পারলাম না, অথবা, কিছ

স্মৃতির ভিতর থেকে...

Image
  সম্প্রতি নোবেল পেলেন Annie Ernaux   এবং, নোবেল প্রাপ্তির প্রায় সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই তাকে নিয়ে পোস্ট করলেন কিছু না কিছু। দেখা গেল, অধিকাংশই তার লেখা পড়েন নি, নামও শোনেন নি, যা প্রতি বছর ঘটে থাকে, অর্থাৎ আমারই মতন মরণদশা । তবে একটা বিষয় নিয়ে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হল, যার দ্বন্দ্বযুদ্ধ আমাকে মুগ্ধ করল। জটিলতাটা হল, তার নামের প্রকৃত বঙ্গোচ্চারণ । দুই-একজন তার ফরাসী নামের বাংলা তর্জমা করলেন, আর তারপর দেখলাম অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন তর্জমাটির সঠিক রূপায়ন হয়েছে কি না তা নিয়ে । এ ব্যাপারে তাদের ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এবং বোধের পূর্ণতা আমায় আত্মহারা করে দিল। তারা ফরাসী জানেন কি না জানি না। আমি জানি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত, এবং, যে হারে আমার বাংলা বানান ভুল হয়, তাতে করে বাংলাটাও আমার ঠিক আসে না। তাই এই রথী-মহারথীদের কুরুক্ষেত্রে না ঢুকে ভাবলাম, আমি বরং Annie Ernaux –র বইগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। যার পেটে যা সয়। ধরলাম তার লেখা সর্ববৃহৎ আলেখ্য --- THE YEARS - Les Ann é es কিন্তু কি লিখব? মানে কীভাবে আমার অনুভূতিটাকে প্রকাশ করব! এই লেখাটা কেমন জানেন? সেই আমাদের দিদা-ঠাকুমারা গল্প করতেন না তাদের মেয়েবেলাক

কো জাগরী?

Image
কোজাগরী। কো জাগরী ? কে জেগে আছ ? এই নিশীথ রাত্রের অসীম নীরবতার মাঝে , ঘন কালো অন্ধকারের নরম জ্যোৎস্না --- তুমি কে ? আমার মনের , প্রাণের , হৃদয়ের স্তরে স্তরে কে তুমি জেগে আছ ? আমার ঘুমে , আমার জাগরণে কে আছ তুমি জেগে ? তোমায় খুঁজি , তোমার চিরচেনা পায়ের ছাপ ধরে ধরে এগোতে চাই... কিন্তু পরক্ষণেই... হারিয়ে যায়...

তবু বিহঙ্গ, এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা

Image
আমার রবীন্দ্রনাথ - পর্ব ৬ এক-একটা সময় আমার মনে হয়, ছুটি কি আর হবে না আমার? এই প্রহরশেষের আলোয় রাঙা হয়ে যার হাত ধরে কোমল ঘাসবিছানো পথে আমি হেঁটে চলেছি কাশের বনে বনে, যার নরম ওষ্ঠের স্পর্শ আর স্বাদ এখনও আমার গালে, ঘাড়ে, ঠোঁটে , জিভে --- তার কাছেও কি আমার কোন ছুটিই পাওনা নেই?   “ ছুটি হল যার কাছে         কিছু তার প্রাপ্য আছে , নিঃশেষে কি হয় নাই সব পরিশোধ।”   পরিশোধ কি হয় নি? আরও কি অনেক বাকি? আমার কি ছুটি হয় নি? আমি কি ডাক শুনতে পাই নি তোমার? সমস্ত দিনজুড়েই আমি কারও কন্যা, কারও দিদি, কারও বন্ধু, কারও প্রেমিকা --- আমার কি সেখান থেকে ফেরার ডাক আসবে না? কখনও কি এমন হবে না, যেখানে ‘তুমি’ আমি, আর ‘আমি’ই তুমি হব? তোমার ডাক কি আসে নি? আমি কি প্রস্তুত নই? না কি এই কাজের মাঝে তুমি আমায় ডাক দিয়েছিলে, বহুবার! স্তব্ধ দিনের মাঝপ্রহরের কঠিন আলোয় “ তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে” , এই কাশের ফুলেরও ছুটি হয়ে গেছে। কোন শুভ্রতাই আর অবশিষ্ট নেই। কাশের বনে বনে বিদায়ের হাতছানি। আমার নরম আঁচলে যে খানিক শুভ্রতা লেগে আছে, কিছুদিনের মধ্যে তারও আর কোন অবশিষ্ট থাকবে না। কাশের বনের ফাঁকে বিদায়ী

শারদীয়া নবকল্লোল

Image
  কিছু কিছু লেখা পড়ার সময় মনে হয় যে, এই লেখাটার পেছনে অনেক সতর্কতা, অনেক পরিশ্রম, অনেক রিসার্চ আছে। এমন একটা লেখাকে সঠিকভাবে পাঠকের সামনে আনাটা একটা চ্যালেঞ্জ। লেখক বা লেখিকা জানেন, বিতর্ক অবশ্যম্ভাবী । হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে বিপুল বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে। এক-এক পাঠকের মানদন্ড এক-একরকম, তবুও, একটা সাধারন মানদন্ডে ‘পালস্‌’টা বুঝে নেওয়া যায় এবং সেই মানদন্ড দিয়ে বিচার করলেও আমরা জানি, লেখাটা গ্রহণের বদলে বর্জিত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল, এবং সেই সাথে নিন্দামন্দও জুটতে পারে। অপরদিকে যারা পাঠক, তারাও খুব বিপদে পড়ে যান। কোন লেখা তাকে যদি চ্যালেঞ্জ করে তাহলে সেই চ্যালেঞ্জটা তিনি নেবেন, না ছুঁড়ে ফেলে দেবেন ? সেটা তার কাছে একটা বিশাল বড়ো ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। তার আজন্ম লালিত পছন্দ আর সংস্কারের বাইরে হঠাৎ তেমন কিছু এলে তার নিজের কাছেই নিজেকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়। ফলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বেরিয়ে এসে লেখাটা পড়াই খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, পছন্দ - অপছন্দ বিচার করা তো আরও দুরূহ। সর্বাণী মুখোপাধ্যায়ের ‘যোনিকীট’ পড়তে গিয়ে তেমনই এক সমস্যার মুখোমুখি হলাম খানিকটা। এ যেন এক আয়নার সামনে নিজেকে দাঁড় করানো

আহা বেশ বেশ বেশ...

Image
  আজ বিজয়া। সকলকে শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আজ, আমরা সবাই জানি, অশুভ শক্তির শুভ শক্তির কাছে পরাজয়ের দিন ইত্যাদি ইত্যাদি [পুরোনো জ্ঞান নতুন করে আর বিতরন করব না]। শাস্ত্রে এর অনেক রকমের ব্যাখ্যা আছে। অনেক বুদ্ধিমান একে আরোও অনেক রকমে নিজের মনের মতন করে ব্যাখ্যা করেন এবং তা প্রতিষ্ঠাও করেন। এ নিয়ে অনেক বাক-বিতন্ডাও আছে। তবে, এই বছর, একটা ব্যপার চোখে পড়ল। যা বুঝছি, এই মহিষাসুর আস্তে আস্তে সেলেব্রিটির পর্যায়ে উঠে আসতে চলেছে। এরকম চলতে থাকলে এমন একটা দিন হয়তো দেখা যেতেই পারে, মন্ডপে মন্ডপে মহিষাসুরের জন্মদিন পালন হচ্ছে। অনেক ক্লাব সেরা পূজোর শিরোপা জিতে ভরপুর আনন্দ করছে। পুরোহিত দর্পণের নব সংস্করণে তিনদিনব্যাপী মহিষাসুর পূজোর প্রণালী হঠাৎ করেই স্থান পেয়েছে। সবকিছুই পরিবর্তনশীল – গীতায় না কি বলেছে। এটাও তবে কেন হবে না? আমরা ছোটবেলায় শুনতাম দুর্গার হাতে মহিষাসুর বধ নাকি অশুভশক্তির বিরূদ্ধে শুভশক্তির জয়। পুরোটাই সিম্বল মাত্র। কিন্তু হঠাৎ করে দুটো বিরুদ্ধ মত এখন ঠাসাঠাসি লড়াই করতে উদ্যত। ইতিহাস এবং পুরাণ দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হয়েছে নতুন করে। আদিবাসী বনাম আর্য সভ্যতা নতুন করে এই মিশ্র সভ্যতাক

শারদীয়া আনন্দমেলা

Image
  শারদীয়া যা কেনার কেনা হয়ে গেছে। এর বাইরে কেনার ইচ্ছা নেই। বিনামূল্যে দিলেও পড়ার বাসনা নেই। কিন্তু সে বাসনায় জল ঢালতে হল। শারদীয়া আনন্দমেলা নেটে PDF ভার্সান আসার পর। কৌতুহলী হয়ে নামিয়েই ফেললাম। কৌতুহল মূলত শীর্ষেন্দুবাবুর জন্য, এবং, আমার মনে হয়, অনেক বছর পর, এই প্রথম তিনি একটা উপন্যাস শেষ করলেন। অদ্ভুতুড়ে সিরিজ রমরমিয়ে বিক্রী হয় এখনও। আমি বেশিরভাগ সিরিজই পড়েছি টানটান উত্তেজনা নিয়ে। গল্পের বিন্যাস, চোর-ভুত-পাগলের সমাহার, গ্রামের অনবদ্য পরিবেশ, এবং সেই মজার মজার সংলাপ! ওনার আর সুকুমার রায়ের (হ য ব র ল) লেখা সংলাপগুলো আমাদের নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে মেয়েলি রহস্যঘণ সাংকেতিক কথাবার্তা কিম্বা খিল্লির উপকরণ মেয়েবেলাতেও ছিল, বড়োবেলাতেও আছে। গত কয়েক বছর ধরে সেগুলো অনুপস্থিত ছিল। এবারেও অনুপস্থিত। তবে, এবারে কিন্তু সুন্দরভাবে শেষ করেছেন। আর গ্রামের বদলে মফস্বল এসেছে, ফলে সম্পূর্ণ গ্রাম্যভাব থেকে বেরিয়ে না এসেও একটুখানি সেই ভাব বজায় রেখে বেশ সুন্দরভাবে গল্প এগিয়েছে কালীচরণকে নিয়ে। এবারের গল্পে ভুত নেই, চোর আছে, রণচন্ডী স্ত্রী এবং টাকালোভী চালাক কাজের লোক দ্বারা নিপীড়িত দুঃখী গজপতি আছেন, যার মত