Posts

Showing posts from September, 2022

শারদীয়া অনুবাদ পত্রিকা

Image
  প্রতিবেশি বাতায়ন - গল্প ছেলেবেলায় আমাদের ক্লাসে একটা ছেলে ছিল, যে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাবত। সে জানত, খেলাধুলায় কেউ তার সমকক্ষ নেই। লেখাপড়াতে উঁচু ক্লাসের দাদা-দিদিরা তার থেকে বেশি জানে বটে, তবে এ ক্লাসের কেউই তার মতন জানে না। সে নিজের মতো করে নিজের জগতেই কাটাত, যে জগতে কারো ঠাঁই নেই। ফলত আমার সেই সহপাঠীটি কারোরই সাথে স্থায়ী বন্ধুত্ব পাতাতে পারে নি। এবং মাধ্যমিক পাশ করার পরে সে যে কোথায় হারিয়ে গেছে, জানি না। এখনকার বাংলা সাহিত্য পড়ার সময় আমার কেন জানি না বারবার ওই সহপাঠীর মুখটা আবছা আবছা মনে পড়ে। গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা পড়ে যাচ্ছি আধুনিক কালের বাংলা সাহিত্যের লেখাপত্র। কিন্তু বারবার পড়া শেষে ঐ বন্ধুটার মুখ একবার ভেসে উঠেই মিলিয়ে যাচ্ছে। নিজের বাড়ীর দরজা - জানলা বন্ধ করে নিজের জাত্যাভিমান নিয়ে থাকলে এক ধরণের আত্মশ্লাঘা অনুভব করা যায় ঠিকই, কিন্তু প্রতিবেশির জানলা দিয়ে যে আনন্দের অন্যরূপ আমাদেরকেও বিমোহিত করতে পারে, তাদের রঙে নিজেকে রাঙালে নিজের কাছে নিজেকেই অন্যভাবে আবিষ্কার করা যেতে পারে, তা আমরা ভুলতে বসেছি। অনুবাদ পত্রিকা এক্ষেত্রে চরম ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের পূ

কারাগার

Image
  এক-একটা সময় আমার অবাক লাগে এই দেখে যে , কোন একটা দেশে একজন লেখকের প্রভাব কি পরিমাণ হতে পারে! সেই লেখক তার সমকালীন প্রায় সমস্ত শিল্পেই এমন প্রভাব ফেলেন , এমনকি সাধারণ জীবনযাত্রাতেও , যে তার থেকে বেরোনো সমকালের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। হয়তো ভবিষ্যতে হঠাৎ করে কিছু শিল্পী আসেন , বলেন , আমরা এই প্রভাব থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু একটা করব। একটা বৈপ্লবিক যুগ শুরু হয় , কিম্বা হয়তো অন্ধকার যুগ। যেমন ,   এদিকে রবীন্দ্রযুগের পর কল্লোল যুগ , এখন বোধহয় অন্ধকার যুগ চলছে। ওদিকে , বাংলাদেশে চলছে হুমায়ুন যুগ। তাদের ভাষায় , লেখায় , এমনকি সিনেমাতেও হুমায়ুন আহমেদের অমোঘ প্রভাব দেখা যায়। এই যেমন , ‘ কারাগার ’ নামক ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে। কি গল্পের পটবিন্যাসে , কি সংলাপে , কি ক্যামেরায় , কি এডিটিং-এ --- সমস্ত কিছুতেই হুমায়ুন আহমেদের ছাপ। দেখে খুব ভাল লাগল। এমনভাবে একটা মানুষকে ধরে এগোনো শুরু হলে যে পূর্ণতার দিকে এগোনো সম্ভব , গোটা সিরিজটাই সেদিকেই এগিয়েছে। এমন ওয়েব সিরিজ দু-তিন মাসে একটা এলে অন্তত বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রের জগতে যে শ্বাসবায়ু আছে , সে যে বেঁচে আছে , সেটা বিশ্বাস করা যায়। যেটা ‘ বেলাশুরু ’ বা ‘ অপরা

ধ্যেত তেরি কা!

Image
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন, গৃহিণীদের না কি একটা ন্যাতা-ক্যাতার হাঁড়ি থাকে। যেখানে সে সব কিছুই একটু একটু করে জমিয়ে রাখে। সমুদ্রের ফেনা থেকে শুরু করে নীল বড়ি পর্যন্ত --- আমারও তেমনি একটা ন্যাতা-ক্যাতার হাঁড়ি, থুড়ি বাক্স আছে। কাল সকাল থেকেই আমার ডান চোখের পাতা কাঁপছিল। ঠাকুর হাঁচি-টিকটিকি মানতেন, আমারও কেন জানি না, এই মৃদু কম্পনে প্রবল ভূকম্পনের আশঙ্কা হল। মন বলল, দ্যাক দিকিনি, ওই বাক্সতে কি কি আছে। তা দেখলাম, অনেক হাবিজাবির মধ্যে একখান কড়কড়ে পাঁচশো টাকার নোট! এটা আবার এখানে কেন? মনে পড়ল না কবে রেখেছিলাম। যাই হোক, সব দেখেশুনে আবার রেখে দিলাম যথাস্থানে।   পরদিন। প্রাতঃকাল। আমি কফির মগ নিয়ে ব্যলকানীতে। চারপাশে বিড়াল ডাকছে, কুকুর ডাকছে, পাখী ডাকছে, গরু ডাকছে, আর নীচে গেটের সামনে প্রবলভাবে হাত নাড়িয়ে ডাকছে – এই রে! জেমস বন্ড! আবার কি হল! আমি তো ঊর্ধশ্বাসে একেবারে নীচে। রাধিকাও এত জোরে কৃষ্ণকে দেখলে দৌড়তেন কি না কে জানে, বোধহয় না। তার তো আর প্রাণের আর মানের মায়া ছিল না, আমার আছে। কাছে গিয়েই দেখি... উরি শ্লা! এসব কি জিনিস রে বাবা! একটা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রবন্ধ ও কবিতার শতবর্ষ সংকলন,

এই চুপ! তুই নোংরা, তুই কথা কইস না

Image
  ভেবেছিলাম এই ব্যাপারে কিছু লিখব না। কিন্তু, আজকের রোববার ম্যাগাজিনের দুটো প্রবন্ধ ভেতরের পুরোনো স্মৃতি, বলা ভাল, বিশ্রী স্মৃতি জাগিয়ে দিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই লেখা। নিজস্ব মত বা বাক্‌ স্বাধীনতা --- খুব বিচিত্র বিষয়। তার একটাই কারণ, এর কোন নির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। নেই বললে ভুল হবে, অভিধানে কিম্বা বিভিন্ন দেশের সংবিধানগুলোতে আছে বটে, কিন্তু তার বাস্তব রূপায়নের পথ এমনই বিচিত্র এবং বিপন্ন যে, স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা দুটো একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ হয়ে গেছে। সোশাল মিডিয়ার পোস্ট কিম্বা কমেন্টসগুলো দেখলে স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতাই বেশি চোখে পড়ে। এই রূপরেখাটা কি? পবিত্র সরকারের ভাষায়, গ্রাইস সাহেব বলেছিলেন, “যা বলা হবে তা প্রাসঙ্গিক হবে, তাতে অসত্য-অবান্তর কিছু থাকবে না, কমও বলা যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।” এখন এই ‘প্রাসঙ্গিক’ বা ‘অবান্তর’ এটা কে ঠিক করবে? সহজ উত্তর, সাধারণ মানুষ। গন্ডগোলটা ঠিক এইখানেই। প্রত্যেকেরই বিচার বুদ্ধির একটা নিজস্ব মাপকাঠি আছে, সেটা অন্যের সাথে এখন আর মিলছে না। ফলে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে গোপনে থেকেও স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার মতন উদারতা দেখানো যায়, সে

সলমন রুশদির হাত ধরে

Image
  সলমন রুশদিকে ছুরিকাঘাত করা হয় অগাস্ট মাসের বারো তারিখে। বলাই বাহুল্য, বাকি সময়টা মিডিয়ার দাপটে আমরা খুঁটিনাটির থেকেও যদি বেশি কিছু থেকে থাকে, তা জেনে গেছি। আর অনুমান করে নিয়েছি, ম্যাগাজিন বা মিডিয়া জগতের পরবর্তী প্রচ্ছদশীর্ষে অবশ্যই এই ব্যক্তিটিই থাকবেন। তবে, তাকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরাটা অত সহজ নয়। বিশেষত যিনি ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক। আমাদের দেশেও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা বর্তমানে চোখে পড়ার মতন। পাড়া-বেপাড়ায় ‘বয়কট’ কালচারই বলুন, কিম্বা সোশাল মিডিয়ায় মুণ্ডপাত করাই বলুন, সবকিছুতেই জনসাধারণের উন্মত্ততা চোখে পড়ার মতন। এমতাবস্থায়, কৃত্তিবাসের এডিশনটা আশানুরূপই ছিল। তবে কৃত্তিবাস বলেই হয়তো আমি চমকে গেছি। প্রচ্ছদটা তো রীতিমতো ইন্টারন্যাশনাল মানের হয়েছে। সুদীপ দত্তকে ধন্যবাদ।   রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আমি ওনার একটা উপন্যাসও পড়িনি। তবে ওনার ‘রোববার লাইব্রেরী খোলা’ পড়েছি মনযোগ দিয়ে। বছরের পর বছর ধরে। দেখেছি, ওনার পড়াশোনার ক্ষেত্রের বিস্তৃতি সত্যিই প্রশংসনীয়। এবং কোন একটা বই, বা বিষয় সম্পর্কে ওনার মননশীলতা রীতিমতো উদাহরণযোগ্য। ‘ রুদ্ধ কন্ঠের যুগযুগান্তর ’ প্রবন্ধে উন

অন্তিম প্রার্থনা

Image
  লোকটার ইচ্ছা হল একবার দক্ষিণেশ্বর যাবে, মায়ের কাছে মানত করবে, কান্নাকাটি করবে, প্রার্থনা করবে     কারণ লোকটা একটা নিতান্তই হতভাগা, তার এমনই নিজেকে মনে হয়।   লোকটা ভাবল অনেক, কি চাইবে    অনেক দুঃখ, হতাশা, বিশ্বাসঘাতকতা আর মর্মযন্ত্রণার পরে এখন সে মানুষটা যেন আগের মতো নেই     মানে যেমনটা সে ছিল আগে, কিম্বা অতীতে, কিম্বা হতে চেয়েছিল   সম্পর্কের অযুত নিযুত অমীমাংসীত লড়াই    কিম্বা কোটি কোটি দায়িত্বের বোঝা তাকে পেড়ে ফেলেছে। হয়তো বুকের পাজর ঝাঝরা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই      সে চায়, মুক্তি        সে চায়, প্রতিশোধ           সে চায়, প্রতিকার   বুকের কোন এক কোনে এখনও আগুন জ্বলে ---            ধিকিধিকি, কিম্বা দাউদাউ সে আগুন বাইরে থেকে যায় না দেখা     কেউ টেরও পায় না তার মারতে ইচ্ছা করে, তারপর মরে যেতে ইচ্ছা করে।   তারপর একদিন এক সন্ধ্যায়,        যখন অবশেষে মায়ের মুখোমুখি হল, কাটা কলাগাছের মতন ধপাস করে প্রণত হল।                     আর কেবলমাত্র একটা কাতর বাক্যই মুখ থেকে বেরিয়ে এল,                             মা, আমি বড়ো ক্লান্ত---

শারদীয়া বর্তমান

Image
লালন ফকির নিয়ে বাংলাদেশে প্রচুর কাজ হয়েছে, হচ্ছেও। আমাদের এদিকে ততটা নয় বলেই মনে হয়। শক্তিনাথ ঝাঁ’র বা এমন কয়েকজন হাতে গোনা মানুষের কথা বাদ দিলে প্রথম লালন ফকিরের ওপর লেখা উপন্যাস ‘মনের মানুষ’ , লেখেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বেশিদিনের পুরোনো নয়, অন্তত লালনের সময়কালের নিরিখে। সেই দিক থেকে বলতে গেলে মহাত্মা কবীরের অবস্থা আরও খারাপ। বাঙালী তাকে পাঠ্য বা চিন্তনের যোগ্য বলে মনে করে না। রবীন্দ্রনাথ করতেন। তিনি প্রায় একশোটা কবিতা ( Songs Of Kabir ) ইংরাজীতে অনুবাদ করে বিশ্বের দরবারে পেশ করেন। ক্ষিতিমোহন সেনকে ঠেলে পাঠান দোঁহা সংগ্রহ করার জন্যে, সেই একটা বাংলা অনুবাদে ‘ কবীর ’ হল বটে, তারপরে এখনও বাংলায় কবীর সম্পর্কে পড়তে হলে ওটাই সবেধন নীলমণি। আবার রবীন্দ্রনাথই হাজারিপ্রসাদ দ্বিবেদীকে দিয়ে শান্তিনিকেতনে বসিয়ে হিন্দীতে লেখালেন ‘কবীর’। বলা হয়, ওটা না কি কবীরের ওপর লেখা এক আখর গ্রন্থ। হিন্দী আগ্রসন নিয়ে আমাদের নাটুকে চীল চিৎকার আছে বটে, অথচ ওটার বাংলা অনুবাদ করার কোন গরজ কারো নেই। ফলে হয়ও নি। তবে হয়তো ছোটখাটো একধিক অনুবাদ হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু সেগুলো ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে কবীরের রিসার্চের ত

আবার শারদীয়া কাণ্ড

Image
“ একখানা দিলে নিমেষ ফেলিতে তিনখানা করে আনে। ” এই লাইনটা মনে পড়ে? রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন। আর আমার জেমস বন্ডকে বললুম, একখানা শারদীয়া অনুবাদ পত্রিকা এনো তো, উনি আনলেন ছয়খানা অনুবাদ পত্রিকা, তাও আবার শারদীয়া! জেমস বন্ড আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে, বলল, কেমন লাগল সারপ্রাইজটা? তুই অনুবাদ পত্রিকা করে লাফাচ্ছিলিস, তোর কাছে তো এগুলো নেই। আমি নিয়ে এলাম কেবল তোরই জন্য। অনেক খুঁজেছি কেবল তোরই জন্য। অবশেষে পেয়েও গেছি। আরও আগেরগুলো পাওয়ার সম্ভবনা থাকলে এনে দেব। তবে এখন আর দিচ্ছি না। আপাতত এইগুলোই পড়।         আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে মনে হচ্ছে। ইচ্ছে করছে মিসেস জেমস বন্ডের কাছে গিয়ে কানভাঙানী দিয়ে মিস্টার জেমস বন্ডকে ঝ্যাটাপেটা খাওয়াই। কিম্বা তার গালে হাত বোলাতে বোলাতে বলি, ওলে আমার বাবু লে, আমার কথা কত্তো ভাবে রে-এ-এ-এ-এ-এ..., বলে এক ঠাসিয়ে চড় মারি। কিন্তু আমি জানি এসব করেও কোনমতেই নিজেকে বাঁচাতে পারব না। ওদিকে আবার অরিত্রীর বাড়ীতে জেমস বন্ড আজ ভোরবেলায় শারদীয়া বর্তমান আর পাক্ষিক কৃত্তিবাস জমা করে দিয়েছে। ওগুলোকেও তো ছাড়াতে হবে! ঘরে এক নয়া পয়সাও নেই। এদিকে মায়ের রক্তচক্ষুকে এড়াতেও হবে,

অন্তরীপ পূজাবার্ষিকী

Image
  এতদিন যখন আমি পূজাবার্ষিকীর লেখাগুলো পড়ছিলাম, কেন জানি না বারবার মনের মধ্যে প্রচণ্ড কলরোল চলত, মানে কেমন যেন আভাস হত। কলকাতার ব্যস্ত রাস্তার একধারে সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বসে থাকলে মনের মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরী হয়, এক কলরোলের অস্থিরতা, তেমনটা, এবং তা বারংবার টের পেতাম। মনে হত, পূজাবার্ষিকীর ঝকঝকে পাতায়, চকচকে বিজ্ঞাপনের মাঝে এক অশান্ত কলরোলের যাঁতাকলে বন্দী আছে লেখক লেখিকাদের লেখনী। সেখানেই যেন পিষে যাচ্ছেন তারা, আর সেই পেষণযন্ত্র থেকে যে নির্যাস বেরিয়ে আসছে তা যেন কেবল বায়না করা, হিসেব করা, নিখুঁত কিন্তু কৃত্রিম, অশান্ত, অসম্পূর্ণ। ‘কবীশ্বরী’র প্রথম পর্বের প্রথম দশটি প্যারার মধ্যে সে কলরোল নেই। এক শান্ত নির্জনতা আমাকে যেন ঘিরে ধরল। মন নীরব হল। নাকে এল আঠারোশো সালের আশেপাশের বুনো গন্ধ। সেই গন্ধের সাথে সাথে রূপ আর রস মিলে স্পর্শ করল আমার মন। অভীক মোহন দত্ত এই উপন্যাসটা সম্পূর্ণ করার পর কতবার কাটাছেঁড়া করেছেন জানি না, কিন্ত এটুকু স্পষ্ট বোঝা যায়, অন্তত মনের ভেতরে অনেক কাটাছেঁড়া হয়েছে। এবং সেই কাঁটাছেড়ার পর উপন্যাসটা এমন রূপ পরিগ্রহ করেছে তা হয়তো নিখুঁত নয়, কিন্তু পটভূমিকার পরিপ্রেক