Posts

Showing posts from July, 2023

কেন...

অনেকদিন পর... মনে পড়ে গেল... দুটো চোখের ভাষা... পাতলা চশমার ভেতর থেকে যে চোখ কেবল চেয়ে থাকত... কথা বলতে চাইত সে... কিন্তু সামনে এলে সমস্ত ভাষা তার দুটো চোখে এসে আটকে যেত... স্কুলজীবনের সে চোখ দুটোর কথা আজ মনে ভেসে এল... কেন... আমার পেনের কালি ফুরিয়ে গেলে সে চাইত তার পেনটাই যেন আমি নিই... তার পেনের কালি ফুরিয়ে গেলে আমার দিকে চাইত সবার আগে... একটা পেন আজও ফেরত পাই নি... কেন... বহুদিন পর... একদিন হঠাৎ... তার বাড়ী গিয়ে দেখি... মেয়েদের সেন্টের শিশি... হেসে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এ মা... তুই মেয়েদের সেন্ট মাখিস... সে লজ্জায় লাল হয়ে বলেছিল, তুই মাখতিস... ব্যাচে পড়তে আসার সময়... মনে নেই তোর... আমার গন্ধটা খুব ভাল লাগত... তাই রাখি... মাখি না... মাঝে মাঝে গন্ধটা নিই... ভালো লাগে... কেন... সে এক গল্প, মস্ত বড়ো গল্প, তোকে বলার ছিল... বলা হয় নি... শুনবি... হ্যাঁ শুনবো... कहानी सुनो जुबानी सुनो हन… मुझे प्यार हुआ था इकरार हुआ था…

রুশদী-র মধ্যরাতের সন্তানেরা

Image
  “My son will understand. As much as for any living being, I’m telling my story for him, so that afterwards, when I’ve lost my struggle against cracks, he will know. Morality, judgment, character… it all starts with memory… and I am keeping carbons.”       সলমন রুশদী’র ‘মিডনাইটস্‌ চিলড্রেন’। এক গভীর গহীন অরণ্য । কেউ এই অরণ্যের সামনে থেকে ফিরে যায়। কেউ গভীরে হারিয়ে যায়। কেউ ঢুকে পড়ে, বেরিয়ে আসে, এবং সেই অরণ্যে ঢোকার আবার তার সাধ জাগে।       এই অরণ্যে চলতে গেলে কয়েকটা নিয়ম মানতে হবে – জঙ্গলের নিয়ম – ‘রুশদী’ পাঠের নিয়ম --- ১। Post Colonial Literature – ১৯৪৭ পরবর্তী ভারতের ইতিহাস জানাটা জরুরী। আধো আধো জ্ঞান হলে চলবে না। আমি এ ব্যাপারে কৃতজ্ঞ রামচন্দ্র গুহের ‘ India After Gandhi ’ বইটার কাছে। ২। বইয়ের চরিত্রগুলোর জটিলতা – মূলত তিন প্রজন্মের কাহিনী। মূল তিন অংশে বিভক্ত এই বইয়ের গল্প বলা একরকম অসম্ভব। যত গল্প এগিয়েছে, ততই জটিলতা বেড়েছে। লতায়-পাতায়, শাখা-প্রশাখায়। ৩। উপন্যাস ব্যখ্যান ধারা – ভাষা ইংরাজী হলেও, মডার্ন ইংরাজী নয়, আবার ক্লাসিকও নয়, এর মাঝামাঝি। ফলে পড়তে গেলে একটু ঠোক্

সরে যেতে হয়

Image
  এই মেঘ-বৃষ্টি-রোদে... ফুল ঝরে যায়... ঝরে যেতে হয়... এমনই সরে যেতে হয়...

কেউ নেই কিছু নেই সূর্য দুবে গেছ

Image
  “ মরে যেতে কখনও ভালো লাগবে না আমার। কারণ জীবন চমৎকার, জীবন ফ্যাসিনেটিং। মরে যাবার কথা ভাবলেই আমি প্রথম ভাবি আর কি আমার পুনর্বার দেখা হবে না... ”       যিনি এই কথাগুলো লিখেছিলেন সেই ডাঃ প্রজ্ঞাদীপা হালদার আত্মহত্যা করেন ২০শে জুন ২০২৩ , আজ থেকে তিন সপ্তাহ আগে । রেখে গেছেন একটি সুইসাইড নোট। ভুল বানানে লিখিত মর্মান্তিক শেষ ফেসবুক পোষ্টটি আমার এই প্রবন্ধের শিরোনাম। মাটি থেকে প্রায় এগারো ফুট উঁচু ফ্যানের থেকে ঝুলন্ত নিথর ক্ষতবিক্ষত প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ভবিষ্যতে আদালতে প্রমাণ হবে। চমক লাগে, যখন দেখি, আত্মহত্যাবিলাসিনী প্রজ্ঞাদীপা উক্ত প্রথম প্যারাটি লিখেছিলেন আত্মহত্যার তিন বছর আগে, একটি বইতে । অনেকটা Confessional Poetry -র আদলে ছোট ছোট গদ্যের প্যাটার্নে লেখা এই বই। নাম ‘আত্মহত্যার সম্পূর্ণ বিবরণী’।       তার আত্মহত্যার পর বইটা আবার লাইম লাইটে ফিরে এসেছে। আমার হাতে অবশেষে এসে পৌছেছে আমারই এক শুভনুধ্যায়ীর হাত ধরে। হাতে আসামাত্রই পড়তে শুরু করলাম। এ বই গোগ্রাসে পড়ে ফেলবার বই নয়। ধীরে ধীরে, নিয়মিত, একটু একটু করে, অবশেষে শেষ করলাম। আমার মনে হল, বাংলা সাহিত্য ভবিষ্যতে

টপ টপাস কিম্বা ধপ ধপাস

Image
  ওই হয় না, মনে করুন, বর্ষাকালে একটা সুন্দর রাস্তা দিয়ে আপনি হাঁটছেন। চারদিক কি সুন্দর। আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে হাঁটছেন। এবং আপনি জানেন না কখন যেন পাকা রাস্তাটা দ্রুত কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। আপনি টের পেলেন যখন, ততক্ষণে একটা আছাড় খেয়ে মাটিতে চিত্তির হয়ে পড়েছেন। গোয়েন্দা টাইপ দাদু-নাতি গল্প পড়তে গিয়ে আমার এই হাল হল। মলাট দেখে মনে হল ভূতের গল্প। তারপর পড়তে পড়তে বুঝলাম গোয়েন্দা গল্প। আর দাদু নাতিকে যেভাবে কোমল স্বরে সব অ্যাবিউসিভ টাইপ কথা বলছেন, বর্তমান যুগের নাতি হলে দাদুর সাথে একটা খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যেত হয় তো। ১ ---       ‘ইতি তোমার মা’ কিম্বা ‘রুকু সুকু’-র পর ‘কলকাতার নিশাচর’ পড়তে গিয়ে আমার সেই অবস্থা হল। চাহিদার যে উচ্চতায় পৌছে গিয়েছিলাম, ‘টপাস’ কিম্বা ‘ধপাস’ করে সেই চাহিদা প্রপাত ধরণীতলে।       জানি, সব লেখা একরকম ধারায় লেখা যায় না, কিন্তু লেখা পড়ার সময় যদি সন্দেহ হয়, এটা কি সেই একই লেখকের লেখা, তাহলে বলতে হবে গোড়াতেই গুরুতর গন্ডগোল। কোন সিগনেচার নেই। ধারভার নেই। আছে কেবল একটা মোটামুটি কিশোর গল্প খাড়া করার দায়। এটার প্রথম প্রকাশ কি বই হিসাবে? না কি শারদীয়া পত

দুই ভাই আর এক টুকরো কিশোরবেলা

Image
  Since you are God’s dear children. You must try to be like Him. Your life must be controlled by love. Just as Christ loved us and gave His life for us. As a sweet-smelling offering and sacrifice. That pleases God.   ‘মানুষ’ কেমন হওয়া উচিৎ --- বজ্রাদপি কঠোরানি মৃদুনি কুসুমাদপি --- বজ্রের চেয়েও কঠোর , কুসুমের চেয়েও কোমল । কুসুমের মতো কোমল মন নিয়েই তো সে জন্মায়। সে যা দেখে তার মধ্যেই বিস্ময় লুকিয়ে থাকে। প্রতি মুহূর্তের প্রাকৃতিক বিস্ময়তার সাথে সাথে মিলিয়ে নেয় অন্তরের কল্পনার বিস্ময়তাকে । আর সে চায়, তার কাছের মানুষজনও এই কোমলতাকে মায়ময় স্নেহময়তা দিয়ে ঘিরে রাখে, আগলে রাখে । যেমনটা এক কিশোর চায়, ঠিক তেমনটা করেই গড়া সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস – রুকু সুকু। রুকু আর সুকু । দুই ভাই। কেমন তারা? “ দাদু রুকুর নাম রেখেছেন ‘ভালমানুষ’। সত্যিই সে ভালোমানুষ, ধীর, স্থির। এক জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা ধৈর্য ধরে বসে থাকতে পারে। নিজের মনে, নিজের ভাবেই থাকে। ভাল বই পেলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যায়। সুকুর নাম রেখেছেন ‘পালোয়ান’। ছটফটে পালোয়ান। সব সময় একটা-না-একটা কিছু তার মাথায় ঘুরছে। এক জায়গায় পা

ভোটান্তরযুদ্ধ

Image
  সন্ধ্যেবেলা। লেভেল ক্রসিং। আমি আর ভাই। ভাইয়ের বাইক। আমি আরোহী। ক্রসিং ডাউন। মস্ত মালগাড়ী। সবে ইঞ্জিন । পেরোচ্ছে শামুকের গতিতে। ক্রসিং-এর উল্টোদিকে তিন মাথার মোড়। ঠিক রাস্তার পাশেই ছোট মঞ্চ। বক্তৃতা মঞ্চ।   একজন যুবক। বক্তৃতার তোড়ে জগৎ ভাসিয়ে দিতে চাইছে। আশেপাশের চেয়ারে বসা মানুষ। কেউ চা খাচ্ছে। কেউ ব্যস্ত নীচুস্বরের আলোচনায়। কেউ বা উদার দৃষ্টি মেলে রেখেছে লাইনের তারে, রেলের চাকায় । একটু দূরে পুলিশের উদাসীন পাহারা।   যুবকের এত উচ্ছ্বাস! কেন? বিগত কয়েক বছরের হিসাব নিকাশ - ইতিহাস - আবেদন। মুখস্থ নয় , যেন তাগিদ। যুবকের আড়চোখ লক্ষ্য করলাম। ভাইয়ের আড়চোখ লক্ষ্য করলাম। দুজনের চোখ ত্রিভুজের অন্য যে বিন্দুর দিকে সেটা একটা জেরক্সের দোকান। মঞ্চের ঠিক উল্টোদিকে। চোদ্দ-পনেরোর কিশোরীরা । একঝাঁক চিকন এবং স্ফীত , জিনস এবং সালোয়ার , লম্বা এবং বেঁটে । শারীরী ভাষা প্রজাপতির মতো। এসেছে নোটস ফটোকপি করাতে। কোন কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছে না তারা। ঝলমল করছে আলোর আড়ালে। আলোর মতো। রাজনীতি , ভোট আর একশো আঠাশ জন মানুষের দৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা হেসে যাচ্ছে খিলখিলিয়ে। হাসতে হাসতে ঢলে পড়ছে একে অপরের গায়ে। তার

@everyone

Image
           যে কোন গ্রুপের ক্ষেত্রে বড়ো মারাত্মক ট্যাগ - @everyone । এক ট্যাগে সব সদস্যদের কাছে পোস্টের নোটিফিকেশান চলে আসে। তারা জেনে যায় একটা পোস্ট এডমিন বা মডারেটর করেছেন। তাতে কিছু ইভেন্ট বা ঘোষণা বা বিজ্ঞাপন আছে। এরপর ওই পোস্টে যারাই কমেন্টস করতে থাকেন , প্রত্যেক কমেন্টসের পরিপ্রেক্ষিতে নোটিফিকেশান আসতে থাকে। যত বেশি কমেন্টস আসে , তত বেশি নোটিফিকেশানের টুংটাং। পোস্ট যদি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হয় , তাহলে নোটিফিকেশনের লিস্ট দেখলে বিরক্তি বাড়ে। জঞ্জাল মনে হয়। গ্রুপের সব সদস্যই এর শিকার হন।       এর একটাই উপায় --- ট্যাগ রিমুভ করে দেওয়া। অনেকেই পারে না। আমিও পারি না সবসময়। বারবার ভুলে যাই কীভাবে রিমুভ করতে হয়। ফলে , টেক স্যাভি যারা নন তাদের কাছে এই ট্যাগ মুর্তিমান আতঙ্ক।       কিন্তু , সত্যিই কি এই ট্যাগের প্রয়োজন আছে ? গ্রুপের সদস্যদের জোর করে ইনভলভ করানোর প্রচেষ্টা কি সাধুবাদের যোগ্য ? একটা ব্যাপার তো এখানেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে , অধিকাংশ সদস্যরা উক্ত গ্রুপের সাথে নৈকট্য বোধ করেন না। আর সেই কারণেই ইনভলভড্‌ নন। না হলে এডমিনদের একটা পোষ্টের নোটিফিকেশান , কিম্বা পোস্টটি সদস্যদ