শারদীয়া ২০২৪
১ লেখিকাকে যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই গল্পের বিষয়বস্তু কি? উনি উত্তর দিয়েছিলেন, সেটা জানতে গেলে তো পড়তে হবে। ভাগ্যিস কথাটা বলেছিলেন ! সর্বাণী মুখোপাধ্যায় আমাকে প্রতিবারই চমকে দেন তার লেখার বিষয়বস্তুর জন্য। এমন অ-সাধারণ সব বিষয়বস্তু বাছেন, যা একদিক থেকে অস্বস্তিকর, কিন্তু অন্যদিক থেকে প্রয়োজনীয়ও বটে। ‘যো * নিকীট’ উপন্যাসটিতে প্রথম নজর কাড়েন উনি। ওই একটি মাত্র উপন্যাস, যা ওনার লেখা, নিয়ে লাগামছাড়া হইচই পড়ে গিয়েছিল। তার কারণ, শিরোনামের অভিঘাত অধিকাংশ বাংলার তথাকথিত ভদ্র শিক্ষিত পাঠককূল সহ্য করতে পারেননি। বিষয়বস্তুতে যাওয়া তো আরও দূরের কথা। যারা বইটার মধ্যে আদিম কদর্যতা খুঁজতে গিয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশই হতাশ হয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন, আর বাকিরা বিস্মিত হয়েছিলেন। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, লেখিকার সাহস দেখে। লেখিকার লেখার ক্ষমতা দেখে। তার পরের বছরের এবং এই বছরের উপন্যাস নিয়ে তেমন কোন আলোচনা হয় নি। কারণ অমন কোন শিরোনাম উনি ব্যবহার করতে পারেন নি। অথচ, এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখার কথা খুব কম লেখক ভাবতে পারেন। লিখেছেন কজন, আমি জানি না। আমার পড়া এই প্রথম। লেখার বিষয়বস্তু ইন্টারসে * ক্