বাবা, পুরুষ দিবসে, এ লেখা তোমার জন্য
যারা আমাকে অনেকদিন ধরে জানেন, আমার লেখা পড়েন, তারা জানেন, আমার বাবা-মা’র প্রিয়তম যে, সে আমি নই, আমার ভাই-ও নয়, আমার জ্যেঠতুতো-খুড়তুতো বোনেরাও নয় – সে আমার গডব্রাদার, আমার পিসতুতো দাদা । আমি যদি সমগ্র বিশ্বে কাউকে হিংসে করি, একমাত্র তাকেই। বাবা-মা’র ভালবাসায় ভাগ হয়ে যাওয়াটা আমি বরদাস্ত করতে পারি না, কিন্তু বরদাস্ত করতে হয়, কারন যতটুকু ঘাটতি পড়ে, তার অনেকটাই সুদে-আসলে সে কিছুটা মিটিয়ে দেয় আমাকে ভালোবেসে, বাকিটা আমি আদায় করে নিই। এত কথা কেন? কারণ, আমার পিতাঠাকুর, যার সঙ্গে কেবলমাত্র প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পর্ক দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে, তিনি কি না পড়ছেন একটা আস্ত বই! কাজ থেকে ফিরে, চায়ের কাপ নিয়ে, একটু একটু করে চুমুক দিয়ে প্রচন্ড মনযোগী হয়ে পড়ছেন বইটা । এবং শুধু তাই নয়, বই পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছেন, জানলার বাইরে অন্ধকারে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছেন! বই যে খুব পড়ছেন, তাও নয়। পড়ছেন একটু একটু করে, বর্ষাকালে গরম ধোঁয়া ওঠা সুস্বাদু খিচুড়ি গরাসে মুখে তোলার মতো করে, কোন তাড়া নেই। শুধু তাই নয়, মায়ের সাথে মাঝে মাঝেই গুটুর গুটুর গল্প করছেন, যা সংসারের হিসাব নি