পিঞ্জর

“যে কোনো মেয়ে, সে হিন্দু হোক কি মুসলমান, যে সব মেয়েরা ফিরে গিয়ে আপন আপন ঘরে ঠাঁই পাচ্ছে, মনে করো তাদের সঙ্গে পূরোর আত্মাও সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে গেছে।” দেশভাগের ক্ষতচিহ্ন আর তার থেকে যে বিষ ছড়িয়েছে, আজও আমরা তার ভুক্তভোগী। অন্তত আমাদের আগের জেনারেশন। আমাদের মধ্যে কিংবা আমাদের পরে এর প্রভাব অতটা সুদূরপ্রসারী হবে না, এবং আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে। পড়ে থাকবে এক টুকরো মর্মান্তিক ইতিহাস। এই ইতিহাস আমাদের গল্পে-গাঁথায়। এই ইতিহাস আমাদের চারপাশের রাস্তায়, বাড়িতে, ক্ষেতে-খামারে। ভারত এবং প্রতিবেশী দুটি দেশই এই ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলেছে, আজকের যুগে সঠিক ও সটীক প্রমাণের কারণে যাকে আর অস্বীকার করা যায় না। অমৃতা প্রীতম দেশভাগের শিকার। অমৃতা দেশভাগের পরে দেশভাগের কুটিল পরিণতির সাক্ষী। অমৃতা রচনা করেছেন ‘পিঞ্জর’। এই উপন্যাস বহুপঠিত। বহু আলোচিত। আর তাই আমার বলার জায়গা খুব কম। অহেতুক আবেগপনায় ভাসতেও মন চায় না। কারণ, অনেক আবেগ আমরা খরচ করে চলেছি অহেতুক। নিজেদের আবেগী বলে গর্ববোধ করি বটে, বুঝতে চাই না—এই আবেগ ...