Posts

Showing posts from September, 2023

P = NP

Image
  “It’s not a simple thing, so it’s hard to give you a simple answer; but if I had to sum it up in one word, I’d say it’s a matter of camouflage. Subterfuge, even. The investigators have been fooled by the criminals’ camouflage. Everything they think is a clue isn’t. Every hint they uncover is merely a breadcrumb set in their path to lure them astray.”        Jaane Jaan সিনেমাটা দেখলাম সদ্য। চমৎকার একটি থ্রিলার। অভিনয় এবং অন্যান্য সব কিছুই সাধারণের থেকে অনেকটাই উঁচু সুরে বাধা। কিন্তু এই সুর উঁচু তখনই হয় যখন তার ‘বেস’ সুরটি, অর্থাৎ, ‘সা’ উঁচু স্কেলে হয়। এই সিনেমার গল্পই এর ‘সা’। অথচ, এই গল্পের বিন্যাসে বেশ কিছু গলদ চোখে পড়ল। এতএব, আজকের এর জেরক্স কপির যুগে, খুঁজে পেলাম, একই বিষয়বস্তুর আবহে মূল জাপানী সিনেমাটা। সিনেমাটা দেখার জন্যে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছি, একটি ইন্টারভিউতে, পরিচালক সুজয় ঘোষ বললেন, মূল যে বইটির অ্যাডাপ্টেশান, তার কথা --- দ্য ডিভোশান অফ্‌ সাসপেক্ট এক্স। লেখক কিয়োগো হিগাশিনো। এই হিগাশিনো ভয়ঙ্কর জাপানী ভূতের সিনেমা ‘দ্যা রিঙ’-এর লেখক। এতএব, আমার মন চলে গেল উৎস সন্ধানে। আমি পড়

বিন্দু বিন্দু গরলামৃতের মন্থনকলস

Image
  “ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে যে-প্রযুক্তিকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি আমরা, অথচ আলাদা করে মনেও রাখি না, সেটি ওই আয়তক্ষেত্রটি। মানবভাবনা আর তথ্যের সেই আধার, যা অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের চেয়েও গভীরভাবে মানবসভ্যতাকে বদলে দিয়েছে। আমাদের ধী-অস্তিত্বের প্রথমতম ঋণ তো বইয়ের কাছেই। ” ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ থেকে শুরু করা যাত্রাপথের যত প্রান্তসীমায় এসে পৌছচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি, চিন্ময় গুহের লেখার প্যাটার্নের শক্তিশালীতা। ‘বিন্দু থেকে বিন্দুতে’ নামক বইটিতে তার লেখনভঙ্গী যেন পূর্বাপর আর অপরাপর সমস্ত লেখনশৈলীকে ছাপিয়ে এক আধুনিক রূপ নিয়েছে । অনেক বেশি সহজতার মধ্যে দিয়ে পাঠকের মনের ভাষার সাথে ওতপ্রোত হয়ে জড়িয়ে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পর্যায়ে যে আটটি পর্বে ভাগ করে বইটির পূর্ণাঙ্গ রূপদান তিনি করেছেন, তা অনেকটাই সার্থক। এমনকি, কৃষ্ণেন্দু চাকী-কৃত বইয়ের প্রচ্ছদের গভীরতা আমাকে বিস্মিত করেছে। চিন্ময় গুহের ভাষা-ব্যবহার নিয়ে দু-একটা কথা বলার আছে। তার ভাষার আঙ্গিক যেন সুররিয়েলিজ্‌মের মধ্যে দিয়ে গেছে। এটা ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ থেকেই স্পষ্ট। সুররিয়েলিজমের যে মূর্চ্ছনা জীবনানন্দ সহ যে কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক

সাসপেক্ট এক্স-এর খোঁজে

Image
  সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমার অবাক লাগছিল। অবাক লাগছিল করিনা কাপুরের কথা ভেবে। ‘টশন’-এর জিরো ফিগার থেকে বেরিয়ে কিম্বা ‘কভি খুশি কভি গম’-এর ‘বেবো’টাইপ থেকে সম্পূর্ণ সরে এসে প্রায় বিনা মেক-আপে এমন স্বতস্ফুর্ত অভিনয় করার ক্ষমতা সে পেলো কোথা থেকে? না কি ওয়েব সিরিজ কিম্বা OTT Platform কমার্শিয়াল সিনেমা করা বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে অনেক সহজাত অভিনয় করিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কিম্বা স্বাধীনতা রাখে? হাজার হোক, এখানে তো আর সেন্সর বোর্ডের চোখ রাঙানি নেই। Jaideep Ahlawat- কে আমার প্রথম ভালো লাগে ‘গব্বর ইজ ব্যাক’-এ। ছোট্ট অভিনয়, কিন্তু কি সুন্দর অভিনয়! তারপরে তো ‘পাতাললোক’ তাকে স্বপ্নের উত্থান ঘটিয়ে দেয়। বলা বাহুল্য, এটাও কিন্তু একটা ওয়েব সিরিজ। আর এই সিনেমায় তো বেড়াছেড়া অভিনয় করেছেন। অমন মেক-আপ আর তার সাথে অমন দুরন্ত চোখ আর মুখের ব্যবহার। কিছু কিছু ক্লোজ শট আমি বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি। আটকে যাই ফ্রেম থেকে ফ্রেমে। যদিও মূল যে জাপানী সিনেমা ( The Devotion of Suspect X ) থেকে এই সিনেমা নির্মিত, সেই সিনেমার জাপানী মানুষদের হাবভাব তার অভিনয়ের মধ্যে একটু একটু রয়েই গেল বলে একটু মন খারাপ লাগে। যা অন্য

শারদীয়া কৃত্তিবাস পত্রিকা ২০২৩

Image
১  প্রথমেই বলে নিই, আমি আজ পর্যন্ত রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাস পড়ি নি। কেবলমাত্র কিছু প্রবন্ধ, মূলত বইয়ের ওপর, পড়েছি। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত লেখাগুলোর কথা বললেই, যেভাবে আমার অজ্ঞাত ফেসবুক বন্ধুরাও যেচে এসে মানা করে যেতেন, বুঝতে পারি, তার লেখনশৈলী কোন পর্যায়ে পৌছলে এতবড় দায়িত্ব এই বন্ধুরা আমার ওপর দেখাতে পারেন। তো, এই প্রথম রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাস পড়লাম। এককথায় মুগ্ধ হলাম। এমন রগরগে সাহিত্যসৃষ্টি আর চটি গল্পের মধ্যে ঠিক পার্থক্যটা কোথায় বুঝতে পারলাম না। তিনি কি বাংলার লরেন্স হতে চান? মনে হয় না তা তিনি হতে পারবেন, কারণ, লরেন্সেরও একটা শালীনতাবোধ ছিল। আমার আশঙ্কা, এই উপন্যাস খুব তাড়াতাড়িই বই হয়ে বেরোবে। অথচ, প্রজাপতি কিম্বা বিবর-এর মতো নিষিদ্ধ ঘোষণা হবে না। যদিও, সমরেশ বসুও ওনার কাছে সদ্যোজাত শিশুমাত্র। কারণ, সাহিত্য আর মনস্তাত্বিক যৌনতা যদি হাত ধরাধরি করা হাটে তাহলে সমরেশ বসু হয়। আর যদি হাত ছাড়াছাড়ি করে হাটে, তাহলে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় হয়। আর্টিস্ট শোভন ভৌমিক বোধহয় তার জীবনের সেরা ছবিগুলো এঁকেছেন। শুধুমাত্র প্রচ্ছদের ছবি ছাড়া আর কোন ছবি সোশাল মিডিয়ায় দেওয়ার য

ইমেজ ভার্সেস সিগনেচার

Image
  দশই সেপ্টেম্বর, দিবা দ্বিপ্রহরে, আমাদের অভিভাবকেরা, যখন দিবানিদ্রায় আত্মমগ্ন, তখন, আমরা কয়েকজন বন্ধু ও তাদের বয়ফ্রেন্ডরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিনেমা হলে, পপকর্ণ সহযোগে, শাহরুখ খানের জন্য গলা ফাটাতে ব্যস্ত। সারা হল যেন হিপনোটিজ্‌মে আক্রান্ত, মাস্‌ হিপনোটিজ্‌ম, যার থেকে বেরোনোর কোন সম্ভবনা নেই। তীব্র সিটির আওয়াজ আর চীৎকার শুনে কানে তালা লেগে যাওয়ার যোগাড়। গানের সাথে সাথে পর্দার সামনেই, জলসা বসে যাচ্ছে। কোমর কে বা কারা দোলাচ্ছে, জানি না, কিন্তু, আমরাও সমান তালে হাততালি দিয়ে তাদেরও উৎসাহ দিতে ব্যস্ত। এক চোখ সিনেমায়, আরেক চোখ তাদের দিকে। প্রসঙ্গত বলি, ফিরে এসে, আবিস্কার করেছি, আমার গলা বসে গেছে, আওয়াজ যা বেরোচ্ছে, তাতে নিজের কথা নিজেই শুনতে পারছি না, চেয়ারে চড়ে সিটি মারতে গিয়ে কোমরে সটকা খেয়ে সেঁক দিচ্ছি, এবং, অবধারিতভাবে, নেচেকুঁদে হঠাৎ ঘাম ঝরানোর কারনে, ঠান্ডা-গরমে আবার জ্বর চলে এসেছে। জ্বরের হাল্কা ঘোরেও আমি যেন শুনতে পাচ্ছি, সেই মারাত্মক ভয়েস, সে ফিসফিসিয়ে আমার কানে ঠোঁট রেখে সে বলছে, রেডি...??? হ্যাঁ, আমি রেডি, লেখাটা লেখার জন্য। আসলে সিনেমাটায় শাহরুখ এবং শাহরুখ ছাড়া আর কিছু নেই। থা

ছবি নিয়ে একটি আবেদন

Image
‘দেশ’ পত্রিকা বের হওয়ার প্রায় সাথে সাথেই জনাকয়েক উৎসাহী পাঠক-পাঠিকা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মূল পত্রিকার ছবিসমেত সূচীপত্র দিয়ে অনেক লাইক/কমেন্টস্‌ পেয়ে যখন আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন কিন্তু আমি একটু টাস্‌কি খেয়ে গিয়েছিলাম প্রচ্ছদ দেখে । মনে হয়েছিল, এবারের ঝড়টি আসছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস দিয়ে নয়, যা প্রত্যাশিত ছিল, এবার ঝড় আসবে প্রচ্ছদ নিয়ে, যা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। হলও তাই। শ্রদ্ধেয় রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারকোলের টানে মাত্র কয়েকটি রেখার নির্মাণের মাধুর্যে ‘দেশ’ নামটিও পারলে যেন নিজেকে বিলুপ্ত করে দেয়। সম্পাদক মহাশয় ছবির পেছনে, এক কোনায়, শিবের জটাজালে থাকা চাঁদের মতো ‘দেশ’ নামটিকে স্থান দিয়েছেন যেন কৃতজ্ঞচিত্তে । বর্ষীয়ান শিল্পী তার তীব্র রেখাটানের লেখচিত্রে দেবীর আলোকচ্ছটার রঙীন রূপ সম্পূর্ণ বিবর্জিত করে সাদাতে-কালোতে এক ছিমছাম সরল প্রচ্ছদ সৃষ্টি করেছেন। এবং সমগ্র পাতাজুড়ে আর কোনরকম কোন প্রতীকেরও স্থানমাত্র দেন নি। ‘দেশ’ তা স্বাগত জানিয়েছে। সশ্রদ্ধ সাহস বটে! এখন, এই ছবিটিকে নিয়ে মোটামুটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন তামাম ‘দেশ’ দর্শককূল। একদল বলছেন, অসামান্য কাজ; আরেকদ