দ্য ভেজিটেরিয়ান
"Why, is it such a bad thing to die?"
এই
একটা প্রশ্ন… মাত্র এই একটা প্রশ্নের মধ্যে লুকিয়ে আছে সারা জীবনের যন্ত্রনা, অপমান, অনাদরের হিসাব। আমাদের চারপাশের অনেকেরই,
জীবন সুখকর নয়। একটা বড়ো কারন, পরিবেশের প্রতিকূলতার কারণে যতটা তার
থেকেও অনেক বেশি, সম্পর্কের ক্ষেত্রে submissive হয়ে থাকার কারণে। হয়তো কোন এক সময়ে, শোষিত ও নিপীড়িত
হতে হতে মানুষের মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, প্রশ্ন করে, মরে যাওয়াটা এমন কি ক্ষতির? আমরা একে ‘আবেগপ্রবণতা’ বলে উড়িয়ে দিতেই পারি। আমরা বলতেই পারি,
ফালতু ‘সিন ক্রিয়েট’।
কিন্তু যার মনে এই প্রশ্নটা উদিত হচ্ছে, সে যে সারা জীবন ধরে
কত অগণিত যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে এসে এই কথাটা বলছে, আমরা ভেবে
দেখি না। যদিও, বেশিরভাগ মানুষই অল্পে কাতর হয়ে এই কথা বলে
স্রেফ সহানুভূতি আদায়ের জন্য। ফলে, যারা এই প্রশ্নের আর্তি
নিয়ে সমাজের কাছে আসছে, তাদেরকেও আমরা, অনেক সময়, ধর্তব্যের মধ্যে আনি না।
লেখিকা
হান ক্যাং ঠিক এই জায়গাটা থেকে প্রশ্ন রেখেছেন তার The Vegetarian উপন্যাসে, ইয়ং-হেই নামক প্রোটাগনিস্ট মহিলাটির মধ্যে দিয়ে, আর
আমি এই দৃষ্টিকোণ থেকেই উপন্যাসটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি।
ইয়ং
হেই-এর আসলেই সমস্যাটা কি?
"Yeong-hye had been the only victim of their father’s beatings. Such
violence wouldn’t have bothered their brother Yeong-ho so much, a boy who went
around doling out his own rough justice to the village children. As the eldest
daughter, In-hye had been the one who took over from their exhausted mother and
made a broth for her father to wash the liquor down, and so he’d always taken a
certain care in his dealings with her. Only Yeong-hye, docile and naive, had
been unable to deflect their father’s temper or put up any form of resistance.
Instead, she had merely absorbed all her suffering inside her, deep into the
marrow of her bones. Now, with the benefit of hindsight, In-hye could see that
the role that she had adopted back then of the hard-working, self-sacrificing
eldest daughter had been a sign not of maturity but of cowardice. It had been a
survival tactic."
এই
জায়গায় এসে উপন্যাসের চিরকালীন দৃষ্টিকোণটাকে দেখা যাক:-
১। সমাজের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' করা।
এখানে সমাজ তার পরিবার পরিজন।
২। মেয়েদের শরীরের ওপর দখলের যে প্রথা সারা
বিশ্বজুড়ে চলে আসছে তার বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' ঘোষণা।
এখানে সে নিজেকে গাছ মনে করছে। সে গাছ হতে চাইছে। সে মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে
দিচ্ছে।
৩। মানসিকভাবে যে অসুস্থতার ভিতর দিয়ে সে চলে আসছে
আজীবন তারই প্রকটতা এই গল্পের বিষয়বস্তু। বিদ্রোহের এক পরিণতি নিজের মনের ক্ষেত্রে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। এটাও কি এক ধরণের 'বিদ্রোহ'?
৪। যে নীরব ও সামাজিক সুপ্রতিষ্ঠিত Violence সে সহ্য
করে এসেছে দিনের পর দিন, তার বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' ঘোষণা করা। তার বাবা, তার স্বামীর যথেচ্ছাচার; তার দিদি, তার ভাইয়ের চরম উদাসীনতা; তার মায়ের তাকে রক্ষা না
করে উদাসীন থাকা; আর পরিশেষে তার নিজের একাকীত্বের সাথে লড়াই
--- তাকে আস্তে আস্তে ঠেলে দেয় স্বেচ্ছামৃত্যুর দিকে।
৫। তার নিজের ইচ্ছা কিম্বা কামনা পুরণের স্বপ্নগুলো
কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সুদুর পরাহত হয়ে পড়ছে। ঠিক এইখান থেকে না বেঁচে থাকতে চাওয়ার
'বিদ্রোহ'। এমনটাই তো আমরা দেখতে
পাচ্ছি এই উপন্যাসে।
"The
feeling that she had never really lived in this world caught her by surprise.
It was a fact. She had never lived. Even as a child, as far back as she could
remember, she had done nothing but endure. She had believed in her own inherent
goodness, her humanity, and lived accordingly, never causing anyone harm. Her
devotion to doing things the right way had been unflagging, all her success had
depended on it, and she would have gone on like that indefinitely. She didn’t
understand why, but faced with those decaying buildings and straggling grasses,
she was nothing but a child who had never lived."
ফলে এই
মানুষটি জীবনের কাছে,
এমনকি নিজের কাছেও, কোথাও যেন বর্জ্য হয়ে
পড়ছে। গাছ হয়ে যাওয়ার মধ্যে যে স্থবিরতা আছে, সে সেই
স্থবিরতাকেই পেতে চাইছে। সে গলা তুলে, তার দিদির মতো বিদ্রোহ
করে বাঁচতে চাইছে না। তার সে ক্ষমতাই নেই। কোনদিন ছিলও না।
"Life is
such a strange thing, she thinks, once she has stopped laughing. Even after
certain things have happened to them, no matter how awful the experience,
people still go on eating and drinking, going to the toilet and washing
themselves — living, in other words. And sometimes they even laugh out loud.
And they probably have these
same thoughts, too, and when they do it must make them cheerlessly recall all
the sadness they’d briefly managed to forget."
আর তাই, বইয়ের শেষটা,
ঠিক তেমনভাবেই হয়, যেমনভাবে বইয়ের শুরুর
কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়ার সময় ভেবে রেখেছিলাম। দুঃখের কথা, ঠিক যে
ইতিবাচক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ভেবেছিলাম, হল ঠিক
তার উলটো। আর এই জায়গাতেই আমার মনে প্রশ্ন দানা বাঁধে,
সত্যিই
কি এই বই ‘বুকার’ পাওয়ার যোগ্য ছিল? নোবেল
কমিটি এই বইটাকে কেন্দ্র করেই মূলত তাদের পোস্ট দিয়েছিলেন। এমনকি অনেক বিদগ্ধ
মানুষ এই বইটাকে কেন্দ্র করেই আলোচনা করেছেন। মনে হয়েছিল, যেন,
এই একটি বই-ই যথেষ্ট হ্যান কাং-কে নোবেল দেওয়ার জন্য।
পড়ার পর আমার অন্ততঃ তেমন কিছু মনে হয় নি।
এখানে কোন Poetic
and Experimental style -ও আমি খুঁজে পাই নি। কেবল এক বিদ্রোহকে
অত্যন্ত নঞর্থকভাবে শেষ হয়ে যেতে দেখছি।
কিছুদিন আগে আমিই একটা বইয়ের রিভিউতে লিখেছিলাম, পুরস্কারের
সুবিধা এই যে, তা সৃষ্টিকে বিধবা সতী’র
সাদা কাপড়ের মতো অমলিন করে দেয় এক ঝটকায়। শুধু তাই নয়, সমীহ
আদায় করে নেয়। পাঠকও যখন পড়ে, বিশেষত ‘বোষ্টুম’
পাঠক, সে ধরেই নেয়, লেখাটা
খুবই ভালো হয়েছে। তার ভালো না লাগলেও, কিম্বা কিছু কিছু
জায়গায় ভালো লাগলেও, সে বেধড়ক নম্র হয়ে বলে, বাঃ! বেশ ভালোই লাগল নভেলটা।
হান
ক্যাং-এর, অন্তত এই উপন্যাসটা পড়ে আমার ঠিক এই কথাগুলোই আবার মনে হয়েছে। আমার মনে
হয়েছে, উপন্যাসের কোথাও কোন সমতা নেই। তিন পর্বের এই
উপন্যাসের প্রথম পর্ব first person narrative, আবার বাকি
দুটো third person narrative এবং, যারা
পড়েছেন, খুব ভাল করে ভেবে বলুন তো, দ্বিতীয়
পর্বের সার্থকতাটা ঠিক কোথায়? জোর করে অনেক কিছুই বলা যায়,
কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব Mongolian Mark বাদ দিলে
উপন্যাস কোথাও অসম্পূর্ণ থাকত কি? আমার তো মনে হয় দিব্যি বাদ
দেওয়াই যেত। যদি না, যৌনতা নিয়ে অহেতুক সুড়সুড়ি এই উপন্যাস
ডিম্যান্ড না করত। বরং, লেখিকাই একে জুড়েছেন। কেন জুড়েছেন? খোদায়
মালুম।
সব
মিলিয়ে, এই উপন্যাসে আমি এমন কিছু বিশেষত্ব খুঁজে পেলাম না, যেখান
থেকে একে নোবেল কিম্বা বুকার পাওয়ার মতো 'ইউনিক' বলতে পারি।
দুঃখিত
হ্যান কাং।
অভিনন্দন হ্যান কাং।
=========
The Vegetarian
Han Kang
Random Houuse Publication
Printed Price: 499
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ সমর্পিতা
Comments
Post a Comment