অনুবাদ পূজাবার্ষিকী ২০২৪
পাঁচ বছর আগেও, পূজাবার্ষিকী
কেনার জন্য বাবার প্যান্টের পকেট থেকে টাকা হাতিয়েছি বাবা জেনেও না জানার ভান
করেছেন। মায়ের রান্নার কৌটো থেকে কখন যে এক-দুশো টাকা 'ইঁদুরে' নিয়ে গেছে
মা টেরও পান নি। এমনকি আমার 'ন্যাতা-ক্যাতা'র হাড়ির শেষ সম্বলটিও খরচ করে
ফেলেছি। রাতের অন্ধকারে জেমস বন্ড* আমার জানালায় টোকা দিয়ে পূজাবার্ষিকী আমার হাতে
পাচার করেছে। কিম্বা ভোরবেলা দড়ি বেধে ঝুলিয়ে রাখা বাজারের ব্যাগে 'মাল' ট্রান্সফার
করেছে।
তারপর, আস্তে আস্তে কখন যেন মনে হয়েছে, এ বড়ো
অন্যায়। না। বাবা-মা-র প্রতি নয়, নিজের প্রতি। সময় এবং অর্থের মুল্য সম্যকভাবে জানা প্রয়োজন।
কারণ আমি বড়ো হচ্ছি। আমাকে এ ছেলেমানুষী মানায় না একদম। আমি মা-কে বললাম, মানে এই
বইটা হাতে নিয়ে তাকে দেখিয়ে বললাম, দেখো আমি বাড়ছি মাম্মি। মা রোষাকষিত
নয়নে তার চালের ড্রামের দিকে একবার তাকিয়েই বেলন হাতে নিলেন। আমি বললাম, বৃথা করো এ
উদ্যম মাতঃ, আমি
এই একটিই বই এবার কিনছি। বাস... আমার পূজাবার্ষিকী বাজার কমপ্লিট।
এই একটা বই 'লোকাল' থেকে সরে
এসে 'গ্লোবালের' জানালা খুলে
দিয়েছে। অন্যান্য সমস্ত অচলায়তনের ইট-পাথর এ ভাঙতে পারবে না বটে, কিন্তু
একজটা দেবীর ভয়ে দক্ষিণের জানালা বন্ধ করে রাখার থেকে ভয়মুক্ত করবে।
এ পত্রিকার বিষয়গুলো আমাদের বাংলা
সাহিত্যের অবস্থান যেমন বুঝিয়ে দেয়, তেমনি আমাদের পাঠকদেরকে 'কসমোপলিটন' হতে বলার
ডাক দিয়ে যায় - "আর বিলম্ব নয়, এখনও আছে সময়।" এর পাতা কিম্বা
সম্পাদনা আহামরি কিছু নয়,
অনেক বানানের ভুল্ভ্রান্তি হয়তো চোখে পড়বে, কিন্তু কনটেন্টের ঋদ্ধতা আর সব
কিছুকে ঢেকে দিয়ে আপন জায়গা করে নেয়।
এই পূজাবার্ষিকীর জন্যে আমি সারা বছর
অপেক্ষা করে থাকি। মনে কেবল একটাই দুরাশা, কবে যে এই পূজাবার্ষিকীতেও অন্তত
তিনটি সার্থক উপন্যাসের দেখা পাব!
এই পূজাবার্ষিকীর দাম? মাত্র
২০০টাকা। যারা সূচীপত্র চাইছেন, তাদের জন্যে লিঙ্ক দেওয়া হল ---
https://www.facebook.com/share/p/2sJSkzfEXtu4ohVu/?mibextid=oFDknk
===========
* আমাদের খবরের কাগজওয়ালা। এবং আমার
বইয়ের জোগানদার।
Comments
Post a Comment