জাস্টিস
আমি ‘দখল’ শব্দটা বুঝি না। দখল আমার
পছন্দের শব্দ না। দখল শব্দটার মধ্যে একটা ঔদ্ধত্য আছে। কিন্তু আমি প্রতিবাদ বুঝি। প্রতিরোধ
বুঝি। ভাষায়, গানে, শিল্পে কিম্বা চরম সময়ে পথে নেমে। বাঁশবাগানের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া
গ্রাম্য রাস্তাটা পূর্ণিমার আলোর জোয়ারে যখন ভেসে যায় জোনাকির সাথে ঝিঁঝিঁপোকার আবহে,
আমি ভাই কিম্বা বাবার হাত ধরে হাঁটি, ভয়ে ভয়ে। সুন্দর ভয়ের আবহে ডুবে যায়। আমার চোখ
মেলে পুর্ণিমা দেখা হয় না। থেকে থেকেই বাঁশবনের অন্ধকারে চোখ চলে যায়। আমি জানি, সুন্দরের
উল্টোপিঠে বিকৃতি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি একা হলেই সে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
আমি মশাল হাতে তার প্রতিরোধ করতে চাই।
কিন্তু একা কি সম্ভব?
না।
শক্তি হাতে হাত রাখলে বাড়ে, এমনকি,
যে শক্তি মাথা তুলে প্রতিরোধ গড়ছে, দূরাগত শব্দও তাকে শক্তি জোগায়। ভাষায়। আমি শব্দশক্তিকে
অবলম্বন করি। সেই শক্তিপুঞ্জের কাছে আমার বার্তা দিই, যারা আজ রাতে মশাল নিয়ে বাঁশবাগানের
অন্ধকারের বিকৃতিকে দূর করার জন্য পথে নামবে --- তোমাদের জন্য ভালোবাসা...
আমি আজ তাদের সাথে সশরীরে থাকতে পারব
না, আমার দুর্ভাগ্য। কিন্তু আমার সমস্ত মন-প্রাণ আজ তাদের সঙ্গেই থাকবে। ‘দখল’ করার
জন্য নয়, ‘প্রতিবাদ’ করার জন্য, ‘প্রতিরোধ’ করার জন্য। আমি ‘জাস্টিস’ চাই। জাস্টিস
--- যা আমাদের মেয়েদের একধাপ এগিয়ে দেবে, স্ব-রাজের জন্য।
Comments
Post a Comment