যদিও সন্ধ্যা

 



যদিও সন্ধ্যা নেমেছে, যদিও এখানে ঘন মেঘ আকাশ জুড়ে, যদিও এখানে ঘাসের ডগায় বিন্দু বিন্দু জল আটকে আছে, যদিও পথচারী কম, যদি লোডশেডিং-এ ঘর অন্ধকার, যদিও তুমি আমার পাশে নেই, তবুও, এমন সন্ধ্যায় আমি তোমাকে ডাকব না।

তুমি দূরেই থাকো। কাছে এসো না। কখনো কখনো তুমি দূরে থাকলেই বরং ভালো। কারন, যখন আমি তোমাতে মগ্ন তখন তুমি আমার সামনে থাকলেও আমার তোমাতে মগ্নতা ছিন্ন হয়। এই কি অলখ টান? অস্তিত্ব আছে, ব্যক্তিত্ব নেই।

আর নেই বলেই এ অনেকটা ম্যাজিকের মতন।

বর্ষা এই ম্যাজিককে আরোও মোহময় করে তোলে। আমি মোহাবিষ্ট হয়ে থাকি। আমি মোহাবিষ্ট হয়ে থাকতে চাই। এমন মোহাবিষ্ট খানিকটা আফিং-এর মতন। যেন কেমন একটা ঝিমধরা ভাব। ভাবনাগুলোও কেমন ঝিমধরা। বাইরে তখন আষাঢ়ে ঝুমবৃষ্টি এই নেশাকে জ্বালাধরা নেশায় নিয়ে যায়। আমি জ্বলতে থাকি। তোমার শরীরের স্পর্শের জন্যে।

কিন্তু জানি, নিবিড়ভাবে শরীরে শরীর মিলিয়ে দিলে এই টান হয়তো থাকবে না। তখন সব জানা হয়ে যাবে। তখন মনে হবে, বেশ তো! এই-ই তাহলে সব? এই তাহলে চরম পাওয়া? যে দূরত্বে প্রেম এমন নেশাতুর করে তোলে, সেই প্রেমই নিবিড় ঘনিষ্ঠতায় যেন কত চিরকালের নিত্যপরিচিত! আমি কোন প্রেমে মজব? নিকটের আলিঙ্গনে? না দূরের ঘনমেঘের হংসমিথুনের উড়ানে?

Comments

Popular posts from this blog

যে বুকে আগুন জ্বলে

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পর্কে