লিখব কোনদিন ভাবিনি, ইচ্ছাও ছিল না। যা ভাল লেগেছে, যা মনে এসেছে তাই ভাষায় রূপান্তর করার চেষ্টা করেছি খেলার ছলে। কারো পছন্দ হয়েছে, কারো হয়নি। সেই লেখাগুলোকে একত্রিত করেই এই ব্লগ। লেখাগুলোর মধ্যে দিয়ে অমরত্বের দাবী এবং লোভ --- কোনটাই করি না।
তখনও রোদ ওঠেনি
Get link
Facebook
X
Pinterest
Email
Other Apps
এমন মিঠেকড়া সকালে...
কফির ধোঁয়াওঠা কাপ ছিল, শালের কবোষ্ণতা ছিল, সর্বনেশে কুয়াশা ছিল, নরম হলুদ বসন্ত ছিল,
ঠিক যেন সন্ধ্যার রক্তপলাশ মেঘ । চারদিক আস্তে আস্তে তাকে ঘিরছে গাঢ় অন্ধকারের ধোঁয়াশা । আমি যেন সেই অন্ধকারের মাঝে হারিয়ে যেতে চাই । এই রক্তপলাশ আগুন বুকে নিয়ে । কি ক্ষতি হবে আমি যদি নষ্ট মেয়ে হই ? কার কি আসবে যাবে তাতে ? কার মন ভাঙবে ? কে আমাকে ডাকবে করুণ সুরে ' ফিরে আয় ' বলে ? কে আমার চুলে নরম করে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলবে , একটু থির হ , মা । অনেক তো দৌড়ালি । সারাটা জীবন আরোও কত দৌড়াতে হবে । তার আগে একটু জিরিয়ে নে । কেউ বলবে কি ? কেউ আছো ? যে উত্তর দেবে , রাত কত হল । কেউ আছো , যে বলবে , ওইদিকে যেয়ো না । কথা বোলো না ওই তরুণের সাথে । কেউ কি বলবে , তোমার চোখে দেখেছিলেম ... কি হবে তবে আমি যদি নষ্ট মেয়ে হই ? আমার বুকের ব্লাউসের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলে । আমার কামনা , আমার ক্ষোভ , আমার বাসনাকে পেরিয়ে , আমার আগুনে দগ্ধ হতে হতে কে ধরতে চাইবে আমার হাতের লাল, সাদা আর হলুদ গোলাপ? কে আছো ? নিজেকে দগ্ধ করে আমাকে দগ্ধ দিনের সুখ দেবে ? সে হাতটাকে আমি খুঁজে চ...
ন্যাঃ! শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কোন পরিবর্তন হয় নি। এমন এক জায়গায় এসে কোপ বসালেন, ঠিক কি হল ঠাহর করতে না করতেই উপন্যাসটা শেষ হয়ে গেল। বেকুবের মতন কেমন যেন ঝিমধরা মাথা নিয়ে বসে রইলাম। তবে শেষ করেছেন বড়ই সুন্দরভাবে। আগেরগুলোর মতন হাবজি গাবজি একতাড়া অমীমাংসিত প্রশ্ন রেখে নয়। তবুও শেষ পাতায় এসে মুখ থেকে বেরিয়ে গেল, যাঃ **...! “আমি এখন এক অন্ধকার প্রকোষ্ঠ। পা দুটো বুকের কাছে জড়ো করা, হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ হয়ে থুতনীর নীচে। আমার চোখদুটো বোজা, আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না। দেখার কিছু নেইও। তবে আমি শব্দ শুনতে পাই। ধুকপুক ধুকপুক।” শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা পড়লে মনে হয় তার যেন বৃত্তের মতন উপন্যাস সম্পূর্ণ করার বাসনা থাকে না। কেবল থাকে বৃত্তপথের মাঝে মাঝে বেশ কিছু চোরাপথের বাঁক। আর সেই বাঁকে এসে পাওয়া যায় মণিমুক্তো। যেমনভাবে হঠাৎ করে পর্বশেষে এক নিরীহ গোবেচারারূপে ঈশ্বর আসেন আর নহুষের সাথে কথোপকথনের মাঝে পর্ব শেষ করেন। “আহা, ভাল করে একটু খুঁজে দেখ না! আঁতিপাঁতি করে খুঁজে দেখ, নিজের ভি...
জেরক্স করতে করতে, জেরক্স করতে করতে, জেরক্স করতে করতে একটা-দুটো ঝকঝকে ভালো প্রিন্ট বের হয়ে আসে। রাজ চক্রবর্তীর ‘প্রলয়’ পর্ব তেমনই একটা উদাহরণ। টিভি সিরিয়াল ‘প্রলয় আসছে’, কিম্বা ‘প্রলয়’ সিনেমার পরে, ওয়েব সিরিজ ‘আবার প্রলয়’ তার একটা বড়ো উদাহরণ। বিষয়ঃ সুন্দরবনে Human Trafficking - বড় মর্মস্পর্শী বিষয়, এমনিই দর্শক টানবে । কিন্তু কলকাত্তাইয়া ভাষা দিয়ে কি সোঁদরবনের ভাষা চালানো যায়? কানে বড়ো লাগে যে! এ যেন একতারাতে বেথোভেনের নবম সিম্ফনি। ফলে যা হওয়ার তাই হল। ঋত্বিক, গৌরব কিম্বা কৌশানীর বাচনভঙ্গি ‘ঘেটে ঘ’ হয়ে গেল। নাট্যব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবাদে সোহিনী যাও বা একটু আধটু চালাচ্ছিল, কিন্তু থানার মধ্যে কিম্বা শেষের দিকে যখন সব চরিত্রেরা মুখোমুখি হতে থাকল, তখন কথ্যভাষা হাস্যকর হয়ে দেখা দিল। যেটা বলছিলাম। মেয়েদের চুরি করা হচ্ছে সুন্দরবনে । সেখানকার মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে রাতারাতি কলকাতা বা অন্যত্র দিয়ে অন্য জায়গায় মেয়েদের পাচার করে দেওয়ার যে ভয়ঙ্কর র্যাকেট, তারই শেষ করতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অনিমেষ দত্ত ওরফে শাশ্বত-র সুন্দরবনের আগমন। টিটাগড়ের ভগ্ন কারখানায় হোক, কিম্বা নৌকার ওপর, শাশ্বত যে ঠি...
Comments
Post a Comment