এক অযাচিত হত্যাকান্ডের সত্যিকথন
“I have no idea which words will come to me. I have no
idea where my writing will take me. I would like to stall this moment and
remain in a state of expectancy. Maybe I’m afraid that the act of writing will
shatter this vision, just like sexual fantasies fade as soon as we have
climaxed.”
বইটা পড়তে
পড়তে ভাবছিলাম, এমন একটা উপন্যাস লেখার কারণ কি? এই উপন্যাসে নিজের গর্ভপাতের গল্প
বলেছেন অ্যানি। এ নিয়ে লেখা সহজ কথা নয়, জানি, কিন্তু ধরে বেঁধে লোককে এমন একটা
লেখা পড়ানোরই বা কারণ কি? যে মহিলা কিছুদিন পরে বুকার পাবেন, তারপরে নোবেল, তিনি
এমন একটা ঘটনাকে বেছে নেবেন কেন?
এর একটা
ইতিহাস আছে। ফ্রান্সের তৎকালীন ইতিহাস।
কেমন ইতিহাস?
ফ্রান্সে একসময় গর্ভপাত করালে কুড়ি বছরের জেল হত। তৎপর জার্মান অধিকৃত ফ্রান্সে
মৃত্যুদন্ড দেওয়ার প্রথা চালু হল, এবং, ইতিহাস বলছে, ১৯৪৩ সালের ৩০শে জুলাইতেও Marie-Louise
Giraud-কে গিলোটিনে হত্যা করা
হয়েছে গর্ভপাতের অপরাধে! তারপর আর কাউকে হত্যা না করা হলেও স্বাধীন ফ্রান্সে এই
প্রথা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। মেয়েরা গর্ভপাত করানোর জন্যে ব্রিটেনে পাড়ি
দিতে থাকে। এই ঢল এত বেড়ে যায় যে, পরবর্তীকালে, ১৯৭৯ সালে ফ্রান্সে আইন পাশ হয় যে,
১০ সপ্তাহের মধ্যে কোন মেয়ে গর্ভপাত করাতে পারবে। BBC Report অনুযায়ী, এই বছরের ফেব্রুয়ারীতে এই সময়টা বাড়িয়ে ১২
থেকে ১৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। আর আমি যখন এই লেখাটা লিখছি, তার মাত্র পাঁচ ঘন্টা আগের
খবর, “France's National
Assembly has backed a bid to enshrine the right to abortion in the
constitution, prompted largely by increased restrictions elsewhere.”
ধন্য ফ্রান্স! প্রথম শ্রেণীর দেশ এখনও কতটা পিছিয়ে,
মানসিকতায়, অন্তত এই ক্ষেত্রে!
অ্যানি যখন তার নিজের গর্ভপাত করাচ্ছেন, অসহায়তার এমন চূড়ান্ত তার
পরিস্থিতি, যে তিনি আজও সে ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। একজন মেয়ে মাত্রই
জানেন, সমাজ এবং আজন্ম লালিত সংস্কারের সাথে যখন দৈহিক চাহিদার সংঘর্ষ হয়, তখন,
বিশেষত মেয়েদের, কিভাবে পিষে যেতে হয়। আমি শুনেছি, বর্বরতায়, পশ্চিম দেশের
অধিবাসীরা, আজও, অনেক ক্ষেত্রেই, কোন অংশে কম যান না।
অ্যানি যখন তার নিজের গর্ভপাত করাচ্ছেন তখন সময়টা ১৯৬৩। সে সময়ে ধরা
পড়ে শাস্তি পাওয়ার ভয় তার কতটা ছিল? একটা উদাহরন দিই --- অ্যানি তার নিজের
যৌনাঙ্গের মধ্যে দিয়ে বড়ো সূঁচ ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেই নিজের গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলেন।
পারেন নি, যন্ত্রণায়। অতঃপর, লুকিয়ে গর্ভপাত করানোর যে পন্থা অবলম্বন করলেন, সেই
যন্ত্রণাদায়ক সময়ের কথা বলার ক্ষমতা আমার নেই, কেবল একটা কথাই যথেষ্ট, অ্যানি তার মেসের
নোংরা বাথরুমের কমোডে দেখেন, আস্তে আস্তে তার মৃত সন্তান
বেরিয়ে আসছে, যেন একদলা মাংসপিন্ড। পাশে একমাত্র তার বন্ধু ‘O’ ছাড়া আর কেউ নেই---
“The two of us are back in my room. I am sitting on the
bed with the foetus between my legs. Neither of us knows what to do. I tell O
we must cut the cord. She gets a pair of scissors; we don’t know where to cut
it but she goes ahead and does it. We look at the tiny body with its huge head,
the eyes two blue dashes beneath translucent lids. It looks like an Indian
doll. We look at the sexual organs. We seem to detect the early stages of a
penis. To think I was capable of producing that. O sits down on a stool, she is
crying. We are both crying in silence. It’s an indescribable scene, life and
death in the same breath. A sacrificial scene.”
তারপর? ক্রমাগত রক্তক্ষরণ, এবং পরিশেষে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে হাসপাতালে
স্থানান্তরণ, সেখানে অপারেশান, অবশেষে যমে-মানুষে টানাটানির পর ফিরে আসা।
অ্যানির এই উপন্যাস ফ্রান্সের সমাজের প্রতি একটা থাপ্পড়। এমন
সপাটে চড় তিনি মারতে পারেন বলেই তিনি অ্যানি। তিনি নিজের জীবনটাকে সমাজের সামনে
উদাহরণস্বরূপ এনে দেখান যে, একটা মেয়ে, আজও, ফ্রান্সের সমাজে, কেমন ক্লীবের মতন
জীবন যাপন করছে, অন্তত এই ক্ষেত্রে। আজও কত মেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন, শুধুমাত্র সঠিক
আইন বলবৎ না হওয়ার কারণে।
“Maybe the
true purpose of my life is for my body, my sensations and my thoughts to become
writing, in other words, something intelligible and universal, causing my
existence to merge into the lives and heads of other people.”
বিঃ দ্রঃ --- এতবড়ো ঘটনা অ্যানির জীবনে যখন ঘটছে,
তখন, সেই পুরো সময়টাতে, তার
বাবা-মা কিছুই জানতেন না। কারণ, জানালে, তাদের চোখে অ্যানি একজন রাক্ষুসী ছাড়া আর কিছুই
হতেন না, যার কারণে, সমাজে তাদের মুখ দেখানোর
আর যো থাকত না…
=========================================
Happening
Author: Annie Ernaux (France)
Translated by: Tanya Leslie
Seven Stories Press
Comments
Post a Comment