রোববার প্রতিদিন জুলাই ২০২২

 


যেকটা ম্যাগাজিন নিয়ে আমি নিয়মিত লিখি, রোববারের প্রতিদিন ম্যাগাজিন তার মধ্যে অন্যতম।

তার কারণ আছে একটা।

আমাকে টানে ম্যাগাজিনের বিষয়বস্তু। খুব কম ম্যাগাজিনই আছে, যারা নিয়মিত চিরপরিচিত বিষয়বস্তু, যা ইতিহাসের স্মৃতিচারনে নয়, রাজনৈতিক গালগল্পে নয়, বরং আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এখনও প্রয়োজনীয়। এবং সপ্তাহে সপ্তাহে সেই বিষয়বস্তুর বিভিন্নতা ম্যাগাজিনটাকে এখনও রঙীন করে রেখেছে। যদিও, নিয়মিত বিভাগগুলো আস্তে আস্তে বর্ণহীন হয়ে পড়ছে।

এবারেরটা সেই গোত্রের। বিষয় – সতর্কীকরণ।

সতর্কীকরণের সবচেয়ে চমকপ্রদ জিনিস হল সঙ্গের ছবিগুলো। দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, সত্যিই তো! কত রকমের বিধিনিষেধ তো আমি দেখেছি, এমনভাবে তার বৈচিত্র্য তো আর কেউ পরিবেশন করতে পারে নি! অনুব্রত চক্রবর্তী, হিরণ মিত্র, অবন্তিকা পাল এমনকি শেষের পাতায় ভাষ্কর লেট-এর লেখাটাও যথেষ্ট আবেদনময়। এমনকি শুরুতে অনিন্দ্য’র ‘অকিঞ্চিৎ’-ও। তুলনায় শুভময় মিত্রের লেখাটা ফিকে লাগল।

আলাদা করে বলতে হয় অনুব্রত চক্রবর্তী এবং অবন্তিকা পালের লেখার কথা। দেওয়াল লিখনের সেকাল আর একালের যে ফারাক, অথচ মূল উদ্দেশ্যের এতটুকু হানি হয় নি, সেটাকে এত সুন্দর বুঝিয়েছেন যে পড়ে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়। অবন্তিকা পালকে ধন্যবাদ, সমাজে এখনও নারীদের তাদের নিজেদের অবস্থানের ক্ষেত্রে যে অলিখিত সতর্কীকরণের মধ্যে যেতে হয় তা যন্ত্রণাদায়ক। যদিও পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু সত্যিই কি তাই? গ্রামে বা মফস্বলের চালচিত্র কিন্তু এখনও অন্য কথা বলে। বিশেষত মানসিকতার।

এবারে চমকে দিয়েছেন গৌতম ভট্টাচার্য –ও। ‘এক ঢিলে দুই পাখী’-এর অভিজ্ঞতাগুলো বেশ চমকপ্রদ।

সব মিলিয়ে এবারের ম্যাগাজিনটা আমার বেশ লাগল।   

 

[ছবি কৃতজ্ঞতাঃ সমর্পিতা]

Comments

Popular posts from this blog

যে বুকে আগুন জ্বলে

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পর্কে

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে