গরীবের জেমস্ বন্ড
“অ্যাই দি, তোর এজেন্ট এসে গেছে, তোকে
ডাকছে...”
“তাই?”, আমি লাফিয়ে উঠি। আমার
জেমস্ বন্ড ওরফে 007 এসে গেছে।
“লাফ দ্যাখো, বাবার পকেট আর
কত কাটবি? মানি তো পেনি সমেত ডাকাতি করছে তোর এজেন্ট।”
“তুই পড়াশোনা কর। বাপের জম্মে
বই খুলেছিস? এসবের মর্ম কি বুঝবি র্যা???”
বাকি কথা শোনার আগেই চলে যাই
আমার জেমস বন্ডের কাছে। ভাই চিল্লিয়ে কিছু একটা বলল। কান অবধি এল না। বিকৃত
প্রতিদ্ধনী কোন অর্থ বহন করে না। অনুভূতির তীব্রতাকে কেবল জানান দেয়। ওসবে পাত্তা
দিলে লস বেশি।
“প্রধন্যা, এই ম্যাগাজিনটা
দেখেছিস আগে?” আমার এজেন্ট, থুড়ি কাগজওয়ালা কাকু বললেন, “এরা অনুবাদ সাহিত্যের
ওপরেই শুধুমাত্র কাজ করে। তোর কথা ভেবেই আনিয়েছি। আমার মনে হয় এটা তোর কাজে
লাগবে।”
কৃত্তিবাসের সাথে অনুবাদ
পত্রিকা! পেছনে প্রতিদিন রোববার উঁকি দিচ্ছে। আমি লাফিয়ে উঠলাম। এক্কেরে
ত্রহ্যস্পর্শ!
“নেব নেব...”
আমার এজেন্ট কড়কড়ে একশো টাকা
গুণে নিল। পেছনে মা এসে দাঁড়িয়েছিল কখন যেন। কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “কেজি
দরে বিক্রী করলে দুটাকাও উঠবে না রে হতচ্ছাড়ি! কাড়ি কাড়ি পয়সার শ্রাদ্ধ। আর
তোমাকেও বলি, ও বললেই আনতে হবে???”
মানিপেনীর মাতাদেবীকে জেমস্ বন্ডও ভয় পায়। ইয়ান ফ্লেমিং জানতেন কি?
আমার জেমস্ বন্ড পালাল, নোটটা পকেটস্থ করেই। আমি গালাগাল শুনতে শুনতে ম্যাগাজিনগুলো নিয়ে ভাইয়ের ঘরে ঢুকলাম। ব্যাটার হাড় না জ্বালালে শান্তি নেই...
Comments
Post a Comment