কৃত্তিবাস মে ১

 



মনে করুন আপনি একটা পত্রিকার সম্পাদক। পনেরো দিন অন্তর একটা করে ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে হবে। এবার এমন একটা বিষয় বাছলেন, যা নিয়ে খুব কম কথা হয়েছে, কিম্বা তথ্যও কম। এবং সেই সাথে দশজন লেখকের সাথে কথা বলে তাদের জানালেন, আপনারা মাত্র একটা করেই পৃষ্ঠা পাবেন, তার মধ্যে যা লেখার লিখুন। লেখকেরা এবার কি করবেন? শব্দজব্দে পড়ে পুরোটার একটা সার-সংক্ষেপ বানাবেন। ফলে সবকটা লেখাই মোটামুটি চর্বিত চর্বন হয়ে উঠবে।

এবারের কৃত্তিবাস তাই হল। প্রণবেশ মাইতি, হিরণ মিত্র, দেবাশীষ দেব, মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জী, সঞ্জিত চৌধুরী, অনির্বান কার্জী --- মোটামুটি একই কথা বলে গেছেন। বরং আলাদা আলাদা করে এনারা যদি পোস্টারগুলোকে নিয়ে বলতেন তাহলে বোধহয় আরোও কমপ্যাক্ট হত। বাকি পরিমল রায়, দেবাশিষ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়, উজ্জ্বল চক্রবর্তী মোটামুটি। পৃষ্ঠাসংখ্যার অভাবে অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে।

আরেকটা বিষয়। পোস্টার জিনিসটা একটা ছবি। রংচঙে বিষয়। তাকে সাদা-কালোতে দেখিয়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলে পাঠকের কাছে তার পরিপূর্ণ রূপ মেলে না। একটু যদি রঙীন পোস্টার দিতেন তাহলে বইটা একটা ছোটখাট রিসার্চ পেপার হয়ে থাকত। না হয় একটা ম্যাগাজিনে খরচ একটু বেশিই হত। কিন্তু কোয়ান্টিটি রাখতে গিয়ে কোয়লিটিতে মার খেয়েছে। তেমন হলে এই সংখ্যার দামটা না হয় একটু বাড়িয়ে নিতেন। ভাল জিনিসের কদর বাঙালীরা এখনও করতে জানেন।

তবে এই বিষয় নিয়ে আলোচনাই বা হয়েছে কই তেমন? আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে চোখে পড়েনি। সেদিক থেকে দেখতে হলে সংগ্রহ করে রাখতেই পারেন।

প্রবীর সরকার আর প্রবীর গঙ্গোপাধায়ের প্রবন্ধ মন্দ নয়। তবে প্রথোমক্তের ফিচারটি অসম্পূর্ণ লাগল। বিশেষত ‘বসন্ত প্রয়াণ’ বইটির ভবিতব্য সম্পর্কে নীরব থেকেই শেষ করলেন।

বাকি রইল মূলত গল্প আর কবিতা --- মোটামুটি লেগেছে।

Comments

Popular posts from this blog

যে বুকে আগুন জ্বলে

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পর্কে

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে