গল্পতরু’র অল্পকথা

 



প্রচ্ছদের যে গল্পতরু দন্ডায়মান, সূচীপত্রে সেই তরুই মাটিতে ধূলিশয্যা নিয়েছে দেখলাম। এটা কি কোন ইঙ্গিত?

অভিজিৎ তরফদার, তিলোত্তমা মজুমদার, অনিতা অগ্নিহোত্রী, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, সুকুমার রুজ, হামিরুদ্দিন মিদ্যা, মৌমিতা, সাদিক হোসেন, বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সান্যাল এবং প্রচেত গুপ্ত।

বড়ো বড়ো এগারোটি নাম। ছোট ছোট এগারোটি গল্প। একত্রে নাম - 'গল্পতরু'। এবারের রোববারের নিবেদন সংবাদ প্রতিদিনের তরফ থেকে।

পড়তে পড়তে মনে পড়ে যাচ্ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়েরর কথা। কোথাও যেন বলেছিলেন, অথবা লিখেছিলেন, বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের মণিমুক্তো রবীন্দ্রনাথের পরেও অনেক আছে। বাংলা সাহিত্য সবচেয়ে বড়ো উপহার দিয়েছে ছোটগল্পের মধ্যে দিয়ে।

সুনীলের সেই কথা তখন বিশ্বাস করি নি। তারাশঙ্কর-বিভূতিভূষণ-মাণিক-সমরেশের পর আর কেউ আছে না কি? কল্লোল যুগ আমার নাক কেটে নিয়েছিল। সুনীল-শীর্ষেন্দু-সঞ্জীব-তারাপদ --- এরা কম কেউকেটা না কি?

কিন্তু, এই পত্রিকাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, কোথাও যেন আমার নাকটা আবার জুড়ছে। একটু একটু করে। গল্পের সেই ধার-ভার কি কোথাও অস্তাচলে? সে ‘খুন’ গল্পই হোক, কিম্বা ‘আক্রমণ’? ‘নদীর মানুষ’ বা ‘শেষের কবিতা’-য় কোথাও একটা ভাল লাগার রেশ থেকে গেলেও ‘পাতা ঝরার সময়’ বা ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’-র চাপে মিলিয়ে যায় পথের মাঝেই। ‘একটি ঝামেলার গল্প’ মনে দাগ কাটলেও নতুন কিছু লাগে না।

পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, লেখক লেখিকাদের কারো কি কোথাও তাড়া ছিল? কেউ কি ডেট মিস করছিল, কিম্বা কেউ কি শুধুমাত্র মন থেকে লিখছে, যা কোথাও কোথা অতিকথন হয়ে যাচ্ছে? না কি আমারই ভুল? পাঠিকা হিসাবে আমার বুঝতে পারার ব্যর্থতা?

প্রশ্নগুলো তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু উত্তর আমার কাছে নেই...

আমি গল্পগুলো নিজের ভাল লাগা অনুযায়ী ক্রমানুসারে সাজিয়েছি। জানি না, বাকিদের কি মত।

 

Comments

Popular posts from this blog

যে বুকে আগুন জ্বলে

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পর্কে