জন্ডিস কেস





“এই বইটা পড়েছিস?” সানী আমার কোলে ধপ্‌ করে বইটা ফেলে দিল। এই সানীর কথা আগেই বলেছি ‘ছেলেরা কাঁদে না’ লেখায়। তো সেই সানী বইটা আমার কোলে আলগোছে ফেলে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

‘ঈ ঈ ঈ ঈ ঈ...!!! এই বইটা কোত্থেকে পেলি?’

“আরে পল্টাদার দিদির কাছ থেকে...”

শ্রীময়ীদি ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছে। এখন একটা কলেজে পড়ায়। বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনেছি। যাওয়ার আগে দানছত্র খুলে দিল না কি?

“আরে না রে বাবা। তুই রামচন্দর না কার একটা বই পড়ে আমাদের উদ্ধার করছিলি, তো মনে হল এই বইটা তোর কাজে লাগতে পারে। শ্রীময়ীদি বলল, প্রধন্যাকে বলিস খলিল জিবরানের বইটা বদলে যদি পারে তাহলে যেন দেয়। ‘প্রফেট’টা পড়েই ফেরত দেবে।”

আমি দিলাম। বেশ আনন্দ করেই দিলাম। আমি মূলত স্বাধীনতা উত্তর ভারতের ইতিহাসে চোখ বোলাতে গিয়ে জিবরানে আটকে গেছি। এই পরম সময়ে হাতে এল এই বাংলা অনুবাদ। রাত্রে খুজে পেতে ইংরাজীটা নামিয়ে নেব। পাব কি না? নিশ্চই পাব। একটু ব্রেক হোক না এবার। খলিলের ব্রেক ইতিহাসে, ইতিহাসের ব্রেক খলিলে। এদের মাঝখানে ব্রেক দরকার হলে অন্য কোন বই ভাবা যাবে। ব্রেকের ব্রেকের ব্রেক...

সানী চলে গেল। রাত্রে হঠাৎ একটা কথা মনে হতেই গা শিউরে উঠল। কেন মরতে বইটা দিতে গেলাম!!! বইটার প্রথম পাতায় আমার হতভাগা বেশ সুন্দর করে লিখে দিয়েছিল, আমার *****কে, With LOVE…, তোর হতভাগা

কিন্তু এখন আর কি করা যাবে। হাত কামড়ানো ছাড়া। ছি ছি! কি লজ্জা কি লজ্জা! মা গো!

 

গভীর রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে শ্রীময়ীদির মেসেজ এল --- বইটা পেলাম, পড়া হয়ে গেলে তোর হতভাগার হাত দিয়ে পাঠিয়ে দেব।

Comments

Popular posts from this blog

যে বুকে আগুন জ্বলে

জেরক্স কপির উন্নত ভার্সানে ‘আবার প্রলয়’ এসেছে

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পর্কে