রোববার এপ্রিল ৯
১। একটা থাপ্পড় সবসময় বোধহয় শুধুমাত্র আঘাত নয়। এতে জড়িয়ে থাকতে
পারে চূড়ান্ত অসন্মান, অবমাননা। কখনও থাপ্পড়টা খেলেই বোঝা যায় পায়ের তলায় জমি কতটা
ঝুরঝুরে। থাপ্পড়ই হয়তো সাহায্য করে নিজেকে আবিষ্কার করতে। জোগায় রুখে দাড়ানোর সাহস।
২। কে কতটা আগ্রাসী বা মারণোন্মুখ হবে তা, এতএব, শুধুই হরমোন-নির্ধারিত
নয়। ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান ও শিক্ষার ওপরেও তা নির্ভর করে।
৩। সমাজমাধ্যমে বাচিকভাবে ধর্ষণের হুমকি পায় মেয়েরা। কিন্তু
ওই নিঃশর্ত বাক্স্বাধীনতার অজুহাত দেখিয়েই ধর্ষণ সম্পর্কে রগরগে আলোচনা করা গ্রুপ
ফেসবুকে ছাড়পত্র পায়।
৪। পুরুষ-পীড়ন চিত্রও অচেনা নয়। তারাও মানসিকভাবে বিদ্ধ্বস্ত
হয়। ... নারীবাদ মানে পুরুষবিদ্বেষ নয়, পুরুষতন্ত্রের প্রতি প্রতিবাদ।
এরকমই টুকরো টুকরো আলোচনা নিয়ে এবারের প্রতিদিন রোববার। লিখেছেন
অতনু বিশ্বাস, শতাব্দী দাশ, বিষ্ণুপ্রিয়া চৌধুরী, রিংকা চক্রবর্তী। পড়তে পড়তে মনে পড়ে
যাচ্ছিল বিগত কিছু ঘটনার কথা। আমাদের মধ্যে থাপ্পড় মারার একটা চল উঠেছে। আগেপিছে কিছু
না ভেবেচিন্তেই চড় মেরে দেওয়া। উল্টোদিকের মানুষটার বক্তব্যকে বিচার ব্যাতিরেকেই তাকে
আক্রমণ করা। যেন আমরা জানি, আমরাই সঠিক। তাকে একটুও বিচার করার দরকার নেই। হয়তো এই
মানুষটাই বাড়ীতে বা কর্মক্ষেত্রে থাপ্পড় খায়, দিনের পর দিন। সেটা তো কোথাও তো ফিরিয়ে
দিতে হবে। এতএব...
প্রশ্ন জাগে, বাক্ স্বাধীনতার বেলাগাম ব্যবহার কোথাও আমাদের
অসহিষ্ণু করে দিচ্ছে না তো? এবারের পত্রিকাটি উইল স্মিথের থাপ্পড় দিয়ে শুরু করলেও সমাজের
অনেক স্তরের থাপ্পড় নিয়ে আলোচনা করার উদারতা দেখিয়েছে। আমার বেশ ভাল লেগেছে এবারের
পত্রিকাটাও। কিন্তু স্রেফ ওইটুকুনই। বাকিটা থোড়-বড়ি-খাড়া...
Comments
Post a Comment