সানন্দা এপ্রিল
সানন্দা আমি খুব একটা পড়ি না কোনকালেই। কি জানেন তো, ‘নারীবাদ’ তত্ত্বে ‘পুরুষ বাদ’-এর গন্ধ পেলে আমার সেটা সয় না। যদিও নারীপ্রগতিতে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই প্রগতি যদি বিদ্বেষ আর বিচ্ছিন্নতা ডেকে আনে তবে তার ফল কখনই ভাল হয় না। রবীন্দ্রনাথের ‘প্রগতিসংহার’ নামক ছোটগল্পটি এ ব্যাপারে একটা বড় উদাহরণ।
কিন্তু এবারে ‘থোর-বড়ি-খাড়া’ থেকে
বেরিয়ে দুটো লেখা ভাল লাগল বেশ। একটা চীরদীপ্তা সেনগুপ্ত’র বয়ানে আর অন্যটা রত্নাবলী
রায়ের বয়ানে। মজার ব্যাপার, এরা দুজনেই কিন্তু প্রগতিবাদী মনোবিদ। অনেকদিন পর এই প্রথম
কোথাও যেন মেয়েদের ইন্ট্রোস্পেকশানের দিকে জোর দিতে বললেন কেউ। অন্তত আমার চোখে পড়ল।
একটার মূল বিষয় ‘কমফোর্ট জোন’, এবং আরেকটা ‘পুরুষতন্ত্র’। দ্বিতীয় বিষয়টা চেনাপরিচিত
হলেও শব্দের ইঙ্গিত ‘পুরুষ বাদ’-এ না গিয়ে সরাসরি শব্দটার মর্মবাণী নিয়ে কথা বলার উদারতা
আমায় মুগ্ধ করল। তৃতীয়, অতি অবশ্যই যশোধরা রায়চৌধুরী। তার লেখা পড়ার জন্যে মুখিয়ে থাকি
এই কারণে যে, প্রতিবারই নতুন কিছু না কিছু আমাদের দেন। এবারে আমি পেলাম কবিতা সিংহ
-কে। বাদবাকি নতুন কিছুই নেই। মেয়েদের জন্য এই কমার্শিয়াল ম্যাগাজিনটা যেমন ছিল তেমনই
আছে। কোন পরিবর্তন নেই।
সানন্দা’র কথা তুলে ধরার কারণই মূলত
ওই দুটি লেখার জন্য। আমার মনে হয়ে অন্তত ওই দুটো বিষয় আরোও বেশি করে আমাদের বিশেষ করে
মেয়েদের ভাবা উচিৎ। কারণ এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ অন্যরকম হয়ে গেছে।
নারী স্বাধীনতা অন্তত শহর ও শহরতলীতে অনেকটাই বেশি। তাই আরেকটু অন্যরকমভাবে নিজেদেরকে
নিয়ে এগোনোর কথা ভাবলে ক্ষতি কি?
Comments
Post a Comment