রসিদি টিকট

“একদিন খুশওয়ান্ত সিং কথায় কথায় বলেন, 'তোমার আবার জীবনী কি, শুধু এক-আধটা অ্যাকসিডেন্ট। লিখতে বসলে রেভিনিউ স্ট্যাম্পের পেছনে লিখে শেষ করা যায়। রেভিনিউ স্ট্যাম্প সম্ভবত এজন্যই বলেন, অন্যান্য টিকিটের সাইজে পরিবর্তন হয়, কিন্তু রেভিনিউ স্ট্যাম্পের সাইজ একই থাকে। ঠিকই বলেছিলেন—যা কিছু ঘটেছে, মনের স্তরেই ঘটেছে এবং সে সবই কাহিনি-নভেলের মাঝে ঢুকে গেছে। তাহলে বাকি আর কী থাকে? তবুও কয়েক ছত্র লিখছি—এমন কিছু, যা জীবনের লেখা-জোখা কাগজে যেন ছোট্ট এক রেভিনিউ স্ট্যাম্প এঁটে দিচ্ছি—কাহিনি-নভেলের লেখাজোখা কাঁচা রসিদকে পাকা রসিদ করার জন্য।” লিখছেন অমৃতা। তার জীবন তাহলে কেমন? শুধুই কি এক টুকরো রসিদে টিকিট? না তো! সেই টিকিটের পরতে পরতে ছবির পর ছবি। সেই ছবি যুক্ত করেছেন জনা কয়েক মানুষ — সাজ্জাদ হায়দার, শাহির, ইমরোজ… আমি যে অনুবাদ পড়ছি, ‘আমার কাছের বন্ধুরা’ — রসিদে টিকিট -এর থেকে একটু আলাদা। কতটা আলাদা সেটা হয়তো ভাষা সংসদ থেকে যে অনুবাদ বেরিয়েছে রসিদি টিকিট নামে, সেটা পড়লে বোঝা যাবে। কেন আলাদা? এই বইটার ভাষান্তর করেছেন যিনি, সেই সুব...