Posts

Showing posts from June, 2025

1984

Image
  যে বই নিয়ে কয়েক লক্ষবার আলোচনা করা হয়ে গেছে, সে বই নিয়ে কি বিশেষ করে কিছু বলা যায়? না আমার মতো অতি সাধারণ পাঠিকার পক্ষে তা মানায়? অবশ্যই মানায় না। তবে কয়েকটা বিষয়কে সামনে আনা যেতেই পারে। বিশেষ করে কয়েকটা শব্দ, যা কালজয়ী, আর এই সময়ে দাড়িয়েও কি সাংঘাতিকভাবে প্রযোজ্য!       তার আগে একটা কথা বলে নেওয়া যাক। ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস এর আগে আমি দুটো পড়েছি। অ্যালডাস হাক্সলি-র আর রে ব্র্যাডবেরি-র। কিন্তু জর্জ অরওয়েল পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল, এ যেন অন্য লেভেলের উপন্যাস। তুলনা না করেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, ডিস্টোপিয়ান অভিজ্ঞতায় এ আমার পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। আর বুঝতে পারছি, হারুকি মুরাকামি কেন 1Q84 নাম দিয়েছিলেন তার উপন্যাসের।       মজার ব্যাপার ভারতে এই বই অনুবাদ হল ২০২৫ সালে। আর হল তো হল, একেবারে দু-দুটো! ১৯৪৯ সালের বই এখন অনুবাদ হচ্ছে! ভ্যালা রে বাঙালি! জানি না, এর মাঝে অনুবাদ হয়ে ‘আউট অফ প্রিন্ট’ হয়ে গেছে কি না, হলে তা আমার জানা নেই। অনুবাদ করেছেন দুইজন। রাকেশকুমার দাস এবং প্রবাল বসাক। একটা বেরিয়েছে কল্পবিশ্ব থেকে, আরেকটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাবল...

আবার রবীন্দ্রনাথ

Image
  “এই ক্ষুদ্র পুস্তকটির নাম আবার রবীন্দ্রনাথ কেন? নিজের রবীন্দ্রনাথ নামে এই রকমই একটি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রকাশ পেয়েছিল আমার ষোলো বছর আগে। পরের পনেরো বছরে রবীন্দ্রনাথকে বিষয় হিসেবে টেনে এনে সামান্য কিছু লিখেছি আরও। সেইরকম কয়েকটি গদ্য এই ক্ষুদ্রায়তন গ্রন্থটিতে দিলাম। পাঠক, এই লেখাগুলিকে আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব বলেই গ্রহণ করবেন, এটুকুই অনুনয়। এখানে বলা যে-কোনো কথাকেই যে অক্লেশে উড়িয়ে দেওয়া যায়, তা আমি মানি।”       লিখছেন জয় গোস্বামী। তার রাবিন্দ্রীকী জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে। এই পর্যায়ের বয়স ষোল বছর। ষোলটি বছরে এক কবি আর এক কবিবরকে নিয়ে কেমন জীবন যাপন করলেন?       “প্রথম দিনের সূর্য? হ্যাঁ, আমার কাছে রবীন্দ্রনাথই। কারণ মন তৈরির রেওয়াজ দরকার। এবং রবীন্দ্রকবিতার পাঠগ্রহণেই আমার কাছে তা সম্ভব। সংগীতশিল্পী নিয়মিত রেওয়াজে বসেন যাতে রাগ থেকে ভ্রষ্ট না হন, গাইবার সময়ে। সুরচ্যুত না হন। এমন অনেক রাগ আছে যাতে বিশেষ-বিশেষ স্বর লাগে না। মালকোষ যেমন পঞ্চমবর্জিত। খাম্বাজের আরোহণে রেখাব লাগে না। এরকম অনেক পাওয়া যায় সংগীতশাস্ত্রে। কিন্তু এমন কোনো র...

হার্ট ল্যাম্প

Image
  “Call the world a small place, or call it big, say that the world is round, giggle and say the world has become a small village… say something! No matter what you say, it makes little difference.” [HIGH-HEALED SHOES]       বানু মুস্তাকের গল্পগুলো পড়তে পড়তে বুকের কলিজা এক-একসময় যেন আমার ছিঁড়ে যাচ্ছিল। এমন নয় যে কেঁদে ভাসাচ্ছিলাম। কারন, আমার দেশের আর এক প্রান্তে, কি যেন অসম্ভব সব ঘটনা ঘটে চলেছে। যেন সেগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাথে তুলনীয়, কিন্তু, তবু কোথাও, যেন অনেক polished, এবং সেই কারণে আরও ভয়ঙ্কর।       আমার নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে, কারণ, ইংরাজীটা আমি একটু আধটু পড়তে পারি, আর জানি, এ বই আর যাই হোক, বাংলায় অনুবাদ হবে না বোধহয়। বাংলার কোন লেখক-লেখিকা লিখতেও পারবেন না। আমায় ভুল বুঝবেন না। ওটা লেখক-লেখিকাদের অক্ষমতা নয়, অপারগতা। কারন, কেরল আর বাংলা এক নয় বলেই লিখতে পারবেন না। বাংলার যন্ত্রনা আর কেরলের সামাজিক যন্ত্রণার পার্থক্য আছে। ওটা অন্য জল-হাওয়ার গুণ। কিন্তু, যন্ত্রনা বা অবদমনের গল্পগুলো কোথাও যেন এক। একই কান্না, একই অস...