Posts

Showing posts from August, 2024

Angry Young Men

Image
  দিদি’র বাড়ি কার্যগতিকে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম, ‘আমার বর’(*) নেই। তিনি দিদির সাথে তার ইচ্‌কুল থেকে এখনও ফেরেননি। জামাইবাবু বসেছিল, কিছু একটা দেখছিল বসে বসে। আমাকে দেখেই বলল, এসো আমার হাফ গার্লফ্রেন্ড। অনেকদিন দেখা নেই যে? ‘পথ দখল’ করছিলে বুঝি? আমি জামাইবাবুর পাশে বসে জিজ্ঞাসা করলাম, খালি বাজে কথা! কুট্টিকে (আমার বর) নিয়ে দিদি আসেনি এখনও? জামাইবাবু বললেন, না হে। স্কুলে গেছে। আসতে একটু দেরী হবে। ওখানে আজ প্রোগ্রাম হচ্ছে। জামাইবাবু আমার মাথার তালুতে নিজের হাতের চেটো চেপে ধরল। আমি বললাম, কি হচ্ছে এটা? দেখছি তোর মাথাটা কত্তো গরম থাকে। হ্যাঁ রে! তোর মাথা কি ঠান্ডা হবে না কখনও? এরকম রুদ্রানীই থাকবি? ফেসবুকে যা লিখছিস, লোকে তো বাড়ি এসে ঠেঙ্গিয়ে যাবে তোকে? একটু শান্ত কবে হবি মা? জামাইবাবু আমাকে অনেক ছোট্টোবেলা থেকে দেখে আসছে। ফলে তার কাছে আমি এখনও কচি খুকি-ই আছি। মতিগতিতে আমার সাথে তার ছেলের কোন পার্থক্য সে খুঁজে পায় না। তার মতে, আমরা দুটোই সমান লেভেলের গাধা প্রজাতির মনুষ্য। বোধবুদ্ধি কিচ্ছুই হয় নি, কেবল গায়ে-গতরেই বাড়ছি। আমি বললাম, তাই? তোমার কি মনে হয় যা লিখেছি ভুল লিখেছি? জামা

তিলোত্তমা

Image
  আগের পোস্টে লিখেছিলাম, বিষন্ন লাগছে। আজও আমার সেই বিষন্নতা কাটে নি। কেন কাটে নি? এক এক করে গোছানো যাক --- ১) মেয়েরা নিরাপদ নয়। শক্তিশালী আইন তাদের পক্ষে যাওয়ার পরেও নয়। কথাটা আমার কাছে ইদানীং আংশিক সত্য লাগে। এলিট কিম্বা মধ্যবিত্ত লেভেলে যেভাবে পুরুষদের প্রতি অন্যায় সুবিধা মেয়েরা নিচ্ছেন, তাতে করে বলাই যায়, 'নিরাপদ' শব্দটা আপেক্ষিক। কিন্তু তবুও, সংখ্যাটা এতই বেশি যে, মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে পথে নামাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। অন্তত একটা বড়ো মাপের আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল। তা ঘটেছে। সেই আন্দোলনের ঢেউ কলকাতার রাস্তা থেকে বাংলাদেশ হয়ে লন্ডনে গিয়ে আছড়ে পড়েছে। আমি বিস্মিত, আনন্দিত, অভিভূত। মেয়েদের অধিকার আমরা মেয়েরা অর্জন করে নেব, নিজেদের ক্ষমতায়, এ আমি মনেপ্রাণে চাই। কিন্তু, বড়ো ধীরে আমরা এগোচ্ছি। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে যেন, সময় বড়ো কম। এখনই যদি না তেড়েফুড়ে ওঠা যায়, তাহলে আর কখনই নয়। সেটা হবে কি? না কি, এক রাতের পথ দখলের পর আমরা আবার ফিরে যাবো আমাদের ড্রয়িংরুম ড্রামা-তে। অবস্থা কিন্তু সেদিকেই এগোচ্ছে। একমাস পরে এটা আর ঐতিহাসিক ঘটনা থাকবে না। ব্যর্থতার কারণ জানতে চেয়ে স্কুলে ইতিহাসে প্

জাস্টিস

Image
  আমি ‘দখল’ শব্দটা বুঝি না। দখল আমার পছন্দের শব্দ না। দখল শব্দটার মধ্যে একটা ঔদ্ধত্য আছে। কিন্তু আমি প্রতিবাদ বুঝি। প্রতিরোধ বুঝি। ভাষায়, গানে, শিল্পে কিম্বা চরম সময়ে পথে নেমে। বাঁশবাগানের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া গ্রাম্য রাস্তাটা পূর্ণিমার আলোর জোয়ারে যখন ভেসে যায় জোনাকির সাথে ঝিঁঝিঁপোকার আবহে, আমি ভাই কিম্বা বাবার হাত ধরে হাঁটি, ভয়ে ভয়ে। সুন্দর ভয়ের আবহে ডুবে যায়। আমার চোখ মেলে পুর্ণিমা দেখা হয় না। থেকে থেকেই বাঁশবনের অন্ধকারে চোখ চলে যায়। আমি জানি, সুন্দরের উল্টোপিঠে বিকৃতি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি একা হলেই সে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। আমি মশাল হাতে তার প্রতিরোধ করতে চাই। কিন্তু একা কি সম্ভব? না। শক্তি হাতে হাত রাখলে বাড়ে, এমনকি, যে শক্তি মাথা তুলে প্রতিরোধ গড়ছে, দূরাগত শব্দও তাকে শক্তি জোগায়। ভাষায়। আমি শব্দশক্তিকে অবলম্বন করি। সেই শক্তিপুঞ্জের কাছে আমার বার্তা দিই, যারা আজ রাতে মশাল নিয়ে বাঁশবাগানের অন্ধকারের বিকৃতিকে দূর করার জন্য পথে নামবে --- তোমাদের জন্য ভালোবাসা... আমি আজ তাদের সাথে সশরীরে থাকতে পারব না, আমার দুর্ভাগ্য। কিন্তু আমার সমস্ত মন-প্রাণ আজ তাদের সঙ্গেই থাকবে। ‘দখল’