পরস্পরকে ভালোবাসো

“Love One Another” এই একটি কথাই হয়তো আজ গোটা বিশ্ব-বিভীষিকার মোড় ফেরাতে পারে। এই একটি কথার নীল-প্রয়োজনীয়তা এখন ভেসে বেড়াচ্ছে প্যালেস্তাইনের অলিতে গলিতে। এই একটি বাক্যের বাকরুদ্ধ ধুসর জীবন আলেখ্য ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায়। এই তিনটি শব্দের যথাযথ মর্মার্থবোধ মণিপুরের ঘরে ঘরে কালো বিষাদে ঢেকে আছে। এই একটি কথার মর্মার্থ পাশ্চাত্য বুঝেছিল ১৯৪৫-এর পর। তারও প্রায় উনিশশো বছর আগে, চুনাপাথরের তৈরী চার দেওয়ালের ঘরে জনা কয়েক আকাট গন্ডমুর্খকে বলেছিলেন যিনি, তিনি রক্তাক্ত হয়েছিলেন কাঠের ক্রুশে। একটানা সাত বছর ধরে চলা বিশ্বযুদ্ধে তখন গোটা ইউরোপ ধুঁকছে। ১৯৫০ সালে, যুদ্ধ পরবর্তী বিদ্ধস্ত এবং লোভাতুর দেশগুলোর মধ্যে যখন এক ঠান্ডা যুদ্ধের অশনি সংকেত প্রোথিত হচ্ছে, তখনি একটা উপন্যাস, বারাব্বাস, জনচেতনার মাঝে স্থান করে নিতে চাইল। পরের বছরেই, বিশেষত, উক্ত উপন্যাসের জন্য, সুইডিশ এই লেখক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। লেখকের নাম P ä r Lagerkvist, রোমান হরফেই লিখলাম, কারন, ইদানীং, বানান পুলিশের দৌরাত্ম্যে ভাববস্তু নির্মমভাবে ঢেকে যাচ্ছে। আমরা কি বারাব্বাসকে চিনি? ...