বইমেলা ও বইসংখ্যা

আজ সকাল সাত ঘটিকায়, সমগ্র পৃথিবী যখন লেপের আরামনিদ্রা ছেড়ে পুরোপুরি ওঠে নি, আমি, মায়ের অনর্গল বকুনির দাপটে, লেপ ছেড়ে নিজেকে উলিকট এবং কাশ্মিরী শালে আগাগোড়া মুড়ে, ব্যলাকানিতে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ হাতে নিয়ে, তন্দ্রাবিলাসিনী, তখন, কুয়াশার ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘরাজ্যের মধ্যে দিয়ে, দৃষ্টিপ্রদীপের আধো ভিতরে আধো বাইরে থাকা জেমস বন্ডের সাইকেল বেলের আওয়াজের পিছন পিছন, হাতে এসে পৌছল --- ‘দেশ’ পত্রিকার বইসংখ্যা। ব্যাপারটা ড্রামাটিক হয়ে গেল, না? তা শীতের কাব্য এমনই হয়। কারণ, আমি বইমেলায় কোনদিন যাই নি। এবার যাওয়ার একটা চেষ্টা চালাচ্ছি। অন্তত একটা ঝটিকা সফর। গেলেও ক’টা বই কিনব, সন্দেহ আছে। একটা কারন, বিস্ময় সামলাতে সামলাতেই হয়তো দেখব, ফেরার সময় হয়েছে, কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখালে সে কি করবে? আর দ্বিতীয় কারণ, জেমস বন্ড আমাকে বেশি ছাড় দেবে। যারা মধ্য ও উচ্চবিত্ত টাইপ উপার্জনকারি, কিম্বা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো বইপ্রেমী, তারা কোনদিন বুঝতেও পারবেন না, যে, শত শত সাম্রাজ্যের ভগ্নাবশেষ পরে, আমরা, হতদারিদ্র আঁতেল বক্তিমে করা বইপাগলের কাছে ১০% বনাম ১৫% -এর কি মূল্য! আর তাছা...